নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা এক ধরনের মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছে। এই ট্রমা নিরসন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পরে ক্লাসে ফিরতে পারছি। সামনে আমাদের বড় মাপের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা কিছু সময় পড়াশোনার মধ্যে থাকতে পারিনি। কীভাবে সেটা দ্রুত সময়ে পুষিয়ে নেওয়া যায় আমাদের সে ব্যাপারে কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষক সবাই মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছেন। আমরা সেই ট্রমা ও সার্বিক মানসিক ও শারীরিক কল্যাণে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়কে জনগণের প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। তা নিরসনেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনাদের সহযোগিতা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত অর্থে আমরা জনগণের প্রতিষ্ঠান মনে করি। সর্বজনতার এখানে দায় ও অধিকার আছে। আমরা সবার সহযোগিতায় কার্যকরভাবে এই কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবো এবং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো বলে মনে করি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তারা সমাজের দর্পণ এবং তাদের মাধ্যমেই সমাজের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের মাধ্যমেই এ যোগাযোগ রেখে সব কার্যক্রম চালিয়ে নিতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ক্লাস ছাড়া অন্য সব বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ক্লাস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে।