Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে সংঘর্ষে নিহত ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে সংঘর্ষে অনন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ফাতাহ আন্দোলনের একজন কমান্ডারও রয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালীন আহত হন সাধারণ মানুষও।

শনিবার (৩০ জুলাই) ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন ও প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

হঠাৎ লেবাননের ফিলিস্তিনি ক্যাম্পে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রোববার (৩০ জুলাই)। ক্যাম্পটির অবস্থান দেশটির বন্দরনগরী সিডনের কাছাকাছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা এপিকে জানান, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য মাহমুদ খলিলকে হত্যাচেষ্টার পরে আইন এল-হিলওয়েহ ক্যাম্পে লড়াই শুরু হয়। তাকে না পেয়ে এক সঙ্গীকে হত্যা করে হামলাকারীরা।

ক্যাম্পে ভারী অস্ত্র, রাইফেল ও গ্রেনেড নিয়ে তাণ্ডব চালানোর খবর পাওয়া গেছে। দীর্ঘক্ষণ চলে লড়াই। মূলত আধিপত্য ও ক্ষমতার লড়াইকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে ক্যাম্প।

এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্প ও আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার ফাতাহ দাবি করেছে, তাদের কমান্ডার আশরাফ আল-আরমাউচি ও তার চার সহযোদ্ধা নিহত হয়েছেন অভিযানের সময়। এটিকে ‘নৃশংস অভিযান’ অ্যাখ্যা দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

ক্যাম্পের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য নিন্দা জানিয়েছে লেবাননে থাকা অন্যান্য ফিলিস্তিনি শিবিরগুলো।

জাতিংঘের ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। লেবানন কর্তৃপক্ষ বলছে, দুইশিশুও আহত হয়। ইউএনআরডি ক্যাম্পের সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

সংর্ঘের সময় মর্টারের গোলা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের পাশে গিয়ে পড়লে এক সেনা সদস্য আহত হন। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে লেবাননের সেনাবাহিনী।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে জানা গেছে, বৃহত্তর এই ক্যাম্পে ৫৫ হাজার লোকের বসবাস। ১৯৪৮ সালে নাকবা বিপর্যয়ের সময় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জায়গায় হয়েছিল এখানে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে সংঘর্ষে নিহত ৬

প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে সংঘর্ষে অনন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ফাতাহ আন্দোলনের একজন কমান্ডারও রয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালীন আহত হন সাধারণ মানুষও।

শনিবার (৩০ জুলাই) ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন ও প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

হঠাৎ লেবাননের ফিলিস্তিনি ক্যাম্পে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রোববার (৩০ জুলাই)। ক্যাম্পটির অবস্থান দেশটির বন্দরনগরী সিডনের কাছাকাছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা এপিকে জানান, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য মাহমুদ খলিলকে হত্যাচেষ্টার পরে আইন এল-হিলওয়েহ ক্যাম্পে লড়াই শুরু হয়। তাকে না পেয়ে এক সঙ্গীকে হত্যা করে হামলাকারীরা।

ক্যাম্পে ভারী অস্ত্র, রাইফেল ও গ্রেনেড নিয়ে তাণ্ডব চালানোর খবর পাওয়া গেছে। দীর্ঘক্ষণ চলে লড়াই। মূলত আধিপত্য ও ক্ষমতার লড়াইকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে ক্যাম্প।

এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্প ও আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার ফাতাহ দাবি করেছে, তাদের কমান্ডার আশরাফ আল-আরমাউচি ও তার চার সহযোদ্ধা নিহত হয়েছেন অভিযানের সময়। এটিকে ‘নৃশংস অভিযান’ অ্যাখ্যা দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

ক্যাম্পের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য নিন্দা জানিয়েছে লেবাননে থাকা অন্যান্য ফিলিস্তিনি শিবিরগুলো।

জাতিংঘের ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। লেবানন কর্তৃপক্ষ বলছে, দুইশিশুও আহত হয়। ইউএনআরডি ক্যাম্পের সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

সংর্ঘের সময় মর্টারের গোলা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের পাশে গিয়ে পড়লে এক সেনা সদস্য আহত হন। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে লেবাননের সেনাবাহিনী।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে জানা গেছে, বৃহত্তর এই ক্যাম্পে ৫৫ হাজার লোকের বসবাস। ১৯৪৮ সালে নাকবা বিপর্যয়ের সময় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জায়গায় হয়েছিল এখানে।