Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের নিচে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ২১০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি বিল পরিশোধে ব্যাংকগুলোকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে, যা গত ৪ অক্টোবর ছিল ২১ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলার। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৩৮ কোটি ডলার ও নিট রিজার্ভ কমেছে ১৯ কোটি ডলার।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক ঋণ ও আমদানি ব্যয় পরিশোধের দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় এর ক্ষয় বেড়ে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে যাওয়ায় ও ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করতে পারছে না। ফলে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্ত হতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দেশের সুনাম ধরে রাখতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলোর কাছে। এতেই কমে যাচ্ছে রিজার্ভ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে তা দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আমদানি পরিশোধে ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে মার্কিন ডলার সহায়তা নিচ্ছে। ফলে, দেশের রিজার্ভ কমছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের মার্কিন ডলারের সবচেয়ে বড় দুটি উৎস রপ্তানি ও প্রবাসী আয় প্রত্যাশার চেয়ে কমেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে, যা বাংলাদেশের মতো আমদানি-নির্ভর দেশগুলোর রিজার্ভে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের নিচে

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি বিল পরিশোধে ব্যাংকগুলোকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে, যা গত ৪ অক্টোবর ছিল ২১ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলার। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৩৮ কোটি ডলার ও নিট রিজার্ভ কমেছে ১৯ কোটি ডলার।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক ঋণ ও আমদানি ব্যয় পরিশোধের দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় এর ক্ষয় বেড়ে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে যাওয়ায় ও ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করতে পারছে না। ফলে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্ত হতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দেশের সুনাম ধরে রাখতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলোর কাছে। এতেই কমে যাচ্ছে রিজার্ভ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে তা দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আমদানি পরিশোধে ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে মার্কিন ডলার সহায়তা নিচ্ছে। ফলে, দেশের রিজার্ভ কমছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের মার্কিন ডলারের সবচেয়ে বড় দুটি উৎস রপ্তানি ও প্রবাসী আয় প্রত্যাশার চেয়ে কমেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে, যা বাংলাদেশের মতো আমদানি-নির্ভর দেশগুলোর রিজার্ভে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।