Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর ১১ এলাকায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ইউনিট করে এবং শয্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন গত কয়েক দশকে এবারই ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সারা দেশের মধ্যে রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় রাজধানী ঢাকার ১১টি এলাকা থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬টি ও উত্তর সিটির ৫টি এলাকা রয়েছে।

রোববার (২৩ জুলাই) ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব জায়গা থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী আসছেন, এর মধ্যে আছে যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, ধানমন্ডি ও বাসাবো। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জায়গাগুলোর মধ্যে আছে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৬৮৫ জন। তার মধ্যে ঢাকায় ১৮ হাজার ৮৮৫ এবং ঢাকার বাইরে ১১ হাজার ৮০০ জন। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

অধিদফতর জানিয়েছে, রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাধারণত কোনো এলাকার ৫ শতাংশ বাড়িতে এই লার্ভা পাওয়া গেলে ওই পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ডেঙ্গুর পিক টাইম এখনো শুরু হয়নি। বিশ্বব্যাপী জ্বলবায়ুর যে প্রভাব, তাতে সামনে বৃষ্টি বাড়বে না কমবে, কেউ জানে না। পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, যেখানে-সেখানে ভবন নির্মাণের কারণে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে মৃত্যু কমাতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান। তিনি বলেন, হাসপাতালে দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সবার আরও সচেতন হওয়া জরুরি।

চলতি মাসের ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ২২ হাজার ৭০৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার (২২ জুলাই) সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২৪২ জন। এরমধ্যে রাজধানীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২৩৯ জন। আর এই সময়ে মারা গেছেন ১১ জন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

রাজধানীর ১১ এলাকায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি

প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ইউনিট করে এবং শয্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন গত কয়েক দশকে এবারই ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সারা দেশের মধ্যে রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় রাজধানী ঢাকার ১১টি এলাকা থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬টি ও উত্তর সিটির ৫টি এলাকা রয়েছে।

রোববার (২৩ জুলাই) ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব জায়গা থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী আসছেন, এর মধ্যে আছে যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, ধানমন্ডি ও বাসাবো। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জায়গাগুলোর মধ্যে আছে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৬৮৫ জন। তার মধ্যে ঢাকায় ১৮ হাজার ৮৮৫ এবং ঢাকার বাইরে ১১ হাজার ৮০০ জন। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

অধিদফতর জানিয়েছে, রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাধারণত কোনো এলাকার ৫ শতাংশ বাড়িতে এই লার্ভা পাওয়া গেলে ওই পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ডেঙ্গুর পিক টাইম এখনো শুরু হয়নি। বিশ্বব্যাপী জ্বলবায়ুর যে প্রভাব, তাতে সামনে বৃষ্টি বাড়বে না কমবে, কেউ জানে না। পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, যেখানে-সেখানে ভবন নির্মাণের কারণে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে মৃত্যু কমাতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান। তিনি বলেন, হাসপাতালে দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সবার আরও সচেতন হওয়া জরুরি।

চলতি মাসের ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ২২ হাজার ৭০৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার (২২ জুলাই) সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২৪২ জন। এরমধ্যে রাজধানীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২৩৯ জন। আর এই সময়ে মারা গেছেন ১১ জন।