মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের এক শিশু ‘ধর্ষণের শিকার’ হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বোন জামাই ও বোনের শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ মার্চ) ভোরে তাকে আটক করা হয়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হিটু শেখ এবং সজিব শেখকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাগুরা জেলা পুলিশ অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশু। সে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা যায়, ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথম অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ওই অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সকালে শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির মা জানান, বোনের বাড়িতে মেয়েকে ঘরের মধ্যে একা পেয়ে কেউ একজন ধর্ষণ করেছে। যেহেতু ওই সময় বাড়িতে সে একা ছিল আর এখনও মেয়ের জ্ঞান ফেরেনি তাই তাকে কে ধর্ষণ করেছে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুবাস রঞ্জন হালদার বলেন, তাকে প্রথমে শ্বাসকষ্টের রোগী হিসেবে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগে নিয়ে গেলে ধর্ষণ আর হত্যা চেষ্টার আলামত পাওয়া যায়। মেয়েটির অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। সে কারণে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আয়ুব আলী বলেন, ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির বোন জামাই ও বোনের শ্বশুরকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার ফরিদপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।