Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বোরকা পরে পালানোর সময় ধর্ষক আটক, গণধোলাই

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে বোরকা পরে পালানোর সময় ধর্ষককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। পরে গণধোলাই শেষে শাহ আলম নামের ওই ধর্ষককে পুলিশে সোপর্দ করেছে তারা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আলম মিয়া উপজেলার চিথলি পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের হিন্দু পাড়ায় ওই শিশুটির বাড়ি। শিশুটি একটি স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী। প্রাইভেট পড়তে প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে যেতো।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার বড় মির্জাপুর ইউনিয়নের নিভৃত এক গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পায়ে প্রতিবন্ধিতা রয়েছে মেয়েটির। রমজান উপলক্ষে তার বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে ওই শিক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার মৃত আবু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া (৪০) মেয়েটিকে জাপটে ধরে ভুট্টাক্ষেতের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির কান্না শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ধর্ষক ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। সন্ধায় অভিযুক্ত আলম মিয়া বোরকা পরে আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়। গণধোলাই দিয়ে রাতেই তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আসামি আলম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাত ৯টার দিকে তাকে বোরকা পরা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেডিকেল চেকআপের জন্য মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

বোরকা পরে পালানোর সময় ধর্ষক আটক, গণধোলাই

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে বোরকা পরে পালানোর সময় ধর্ষককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। পরে গণধোলাই শেষে শাহ আলম নামের ওই ধর্ষককে পুলিশে সোপর্দ করেছে তারা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আলম মিয়া উপজেলার চিথলি পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের হিন্দু পাড়ায় ওই শিশুটির বাড়ি। শিশুটি একটি স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী। প্রাইভেট পড়তে প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে যেতো।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার বড় মির্জাপুর ইউনিয়নের নিভৃত এক গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পায়ে প্রতিবন্ধিতা রয়েছে মেয়েটির। রমজান উপলক্ষে তার বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে ওই শিক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার মৃত আবু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া (৪০) মেয়েটিকে জাপটে ধরে ভুট্টাক্ষেতের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির কান্না শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ধর্ষক ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। সন্ধায় অভিযুক্ত আলম মিয়া বোরকা পরে আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়। গণধোলাই দিয়ে রাতেই তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আসামি আলম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাত ৯টার দিকে তাকে বোরকা পরা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেডিকেল চেকআপের জন্য মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।