Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেসরকারি হাসপাতালে এতো সিজার মানা যায় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সংখ্যা বাড়লেও আশঙ্কাজনক হারে সি-সেকশন (সিজার) বেড়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেটি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমিয়েছি। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ডেলিভারির সংখ্যা বেড়েছে। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো সি-সেকশনও অনেক বেশি মাত্রায় বেড়েছে, যার পরিমাণ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই অনেক বেশি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একটি দেশে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সিজার মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু এর বেশি কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। একই সঙ্গে কীভাবে সিজারের পরিমাণ কমিয়ে আনা যায় তার জন্য সবরকম চেষ্টাই আমরা করে যাব।

মন্ত্রী বলেন, আমরা গত মাসে দেশের বেশকিছু হাসপাতালে ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস (বৈকালিক সেবা) কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রম আমরা শুরু করব। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ সরকারি হাসপাতালের বৈকালিক সেবায় চিকিৎসা নিচ্ছে। সেবা পেয়ে একদিকে যেমন জনগণ খুশি, অন্যদিকে যারা সেবা দিচ্ছেন তারাও খুশি।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, হাসপাতালে সেবা দিতে গিয়ে প্রায় সময়ই চিকিৎসকরা নানা সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় রোগীর স্বজনদের মাধ্যমে হাসপাতাল ভাঙচুর হয়। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে মারামারি পর্যন্ত হয়। এসব সমস্যার সমাধানে আমরা আগামী সংসদেই স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনটি পাস করে ফেলার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শুধু হাসপাতাল বানালেই হবে না, এগুলোতে দক্ষ জনবলও প্রয়োজন। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন লাখ লোক কাজ করে। জনবল ও সেবার দিক থেকে আমরা এখন সবচেয়ে বৃহৎ মন্ত্রণালয়। আমাদের চিকিৎসক-নার্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু জনবল দিয়েই হবে না, পর্যাপ্ত ওষুধও দরকার। আশার দিক হলো দেশে উৎপাদিত হচ্ছে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ। এসব ওষুধ আমরা বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবায় অসংখ্য হাসপাতাল করলাম কিন্তু আমাদের দেখতে হবে মানুষ সেগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে কি না। যদিও এ বিষয়টি কিছুটা ক্রিটিক্যাল। তারপরও আমরা সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৬০ হাজারে উন্নীত হয়েছে কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ৫ হাজারও ছিল না।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে আশঙ্কাজনক হারে অসংক্রামক ব্যাধি বাড়ছে। ক্যান্সার, কিডনি হার্ট অ্যাটাকে অসংখ্য লোক মারা যায়। আট বিভাগে আটটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি, আগামী বছর চালু হয়ে যাবে।

জাহিদ মালিক আরো বলেন, আমরা সন্ধ্যাকালীন স্বাস্থ্যসেবা শুরু করেছি মাত্র। বিকেল তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ইনস্টিটিউশনাল প্রাক্টিস কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে যতগুলো জেলা এবং উপজেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে সবগুলোতেই আমরা ইনস্টিটিউশনাল প্রাক্টিস নিশ্চিত করবো। এই কাজ খুব সুন্দর ভাবে শুরু হয়েছে। জনগণ সেবা পেয়ে খুশি এবং সেইসাথে চিকিৎসক নার্স তারাও খুশি সেবা দিতে পেরে। এর মাধ্যমে সেবার মান বাড়বে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় মাঝেমধ্যেই সমস্যা দেখা যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে, ভুল বোঝাবুঝির কারণে মারামারিও হয়। এসব বিশৃঙ্খলা রোধ করার জন্য এবং সেবার মান বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রায় শেষ করে ফেলেছি। আগামী সংসদে আমরা এই আইনটি পাস করার চেষ্টা করব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমি মনে করি ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ প্রয়োজন। ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের মাধ্যমে আমরা আরও ভালোভাবে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার অর্থ হল জনগণ চিকিৎসা নিতে যেন ভোগান্তিতে, আর্থিক কষ্টে না পরে। রাষ্ট্র যেন তাকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়। স্বাস্থ্য সেবা পেতে তাকে যেন খরচ করতে না হয়। এটাই হলো ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ। আপনারা জানেন, ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজের কাজ কিন্তু বাংলাদেশ করছে, বিশেষ করে সরকারিভাবে হচ্ছে।

ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালে সামান্য কিছু সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ে এবং মেডিকেল কলেজে মূল চিকিৎসা কিন্তু ফ্রি। চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সেবা সরকার ফ্রি দিয়ে যাচ্ছে। যেটা ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের মাধ্যমে দেওয়ার কথা। যেটা অনেকখানি হেলথ কাভারেজ বাংলাদেশ নিয়ে আসছে। শুধুমাত্র প্রাইভেট সেক্টরে যে সেবা দিয়ে থাকে, যারা সেখানে সেবা নেন তাদেরকে ব্যয় করতে হয়। সেখানে আমাদের ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের ব্যবস্থা আরও বেশি করে নিতে হবে। বেসরকারি সেক্টরের সেবার মূল্য দেওয়ার ব্যবস্থা আমাদেরকে ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের মাধ্যমে করতে হবে। করোনার সময় আমরা দেখেছি স্বাস্থ্যসেবা দিতে না পারলে দেশ থেমে যায়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো খুরশিদ আলম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

বেসরকারি হাসপাতালে এতো সিজার মানা যায় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সংখ্যা বাড়লেও আশঙ্কাজনক হারে সি-সেকশন (সিজার) বেড়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেটি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমিয়েছি। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ডেলিভারির সংখ্যা বেড়েছে। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো সি-সেকশনও অনেক বেশি মাত্রায় বেড়েছে, যার পরিমাণ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই অনেক বেশি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একটি দেশে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সিজার মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু এর বেশি কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। একই সঙ্গে কীভাবে সিজারের পরিমাণ কমিয়ে আনা যায় তার জন্য সবরকম চেষ্টাই আমরা করে যাব।

মন্ত্রী বলেন, আমরা গত মাসে দেশের বেশকিছু হাসপাতালে ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস (বৈকালিক সেবা) কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রম আমরা শুরু করব। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ সরকারি হাসপাতালের বৈকালিক সেবায় চিকিৎসা নিচ্ছে। সেবা পেয়ে একদিকে যেমন জনগণ খুশি, অন্যদিকে যারা সেবা দিচ্ছেন তারাও খুশি।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, হাসপাতালে সেবা দিতে গিয়ে প্রায় সময়ই চিকিৎসকরা নানা সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় রোগীর স্বজনদের মাধ্যমে হাসপাতাল ভাঙচুর হয়। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে মারামারি পর্যন্ত হয়। এসব সমস্যার সমাধানে আমরা আগামী সংসদেই স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনটি পাস করে ফেলার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শুধু হাসপাতাল বানালেই হবে না, এগুলোতে দক্ষ জনবলও প্রয়োজন। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন লাখ লোক কাজ করে। জনবল ও সেবার দিক থেকে আমরা এখন সবচেয়ে বৃহৎ মন্ত্রণালয়। আমাদের চিকিৎসক-নার্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু জনবল দিয়েই হবে না, পর্যাপ্ত ওষুধও দরকার। আশার দিক হলো দেশে উৎপাদিত হচ্ছে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ। এসব ওষুধ আমরা বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবায় অসংখ্য হাসপাতাল করলাম কিন্তু আমাদের দেখতে হবে মানুষ সেগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে কি না। যদিও এ বিষয়টি কিছুটা ক্রিটিক্যাল। তারপরও আমরা সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৬০ হাজারে উন্নীত হয়েছে কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ৫ হাজারও ছিল না।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে আশঙ্কাজনক হারে অসংক্রামক ব্যাধি বাড়ছে। ক্যান্সার, কিডনি হার্ট অ্যাটাকে অসংখ্য লোক মারা যায়। আট বিভাগে আটটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি, আগামী বছর চালু হয়ে যাবে।

জাহিদ মালিক আরো বলেন, আমরা সন্ধ্যাকালীন স্বাস্থ্যসেবা শুরু করেছি মাত্র। বিকেল তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ইনস্টিটিউশনাল প্রাক্টিস কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে যতগুলো জেলা এবং উপজেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে সবগুলোতেই আমরা ইনস্টিটিউশনাল প্রাক্টিস নিশ্চিত করবো। এই কাজ খুব সুন্দর ভাবে শুরু হয়েছে। জনগণ সেবা পেয়ে খুশি এবং সেইসাথে চিকিৎসক নার্স তারাও খুশি সেবা দিতে পেরে। এর মাধ্যমে সেবার মান বাড়বে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় মাঝেমধ্যেই সমস্যা দেখা যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে, ভুল বোঝাবুঝির কারণে মারামারিও হয়। এসব বিশৃঙ্খলা রোধ করার জন্য এবং সেবার মান বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রায় শেষ করে ফেলেছি। আগামী সংসদে আমরা এই আইনটি পাস করার চেষ্টা করব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমি মনে করি ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ প্রয়োজন। ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের মাধ্যমে আমরা আরও ভালোভাবে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার অর্থ হল জনগণ চিকিৎসা নিতে যেন ভোগান্তিতে, আর্থিক কষ্টে না পরে। রাষ্ট্র যেন তাকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়। স্বাস্থ্য সেবা পেতে তাকে যেন খরচ করতে না হয়। এটাই হলো ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ। আপনারা জানেন, ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজের কাজ কিন্তু বাংলাদেশ করছে, বিশেষ করে সরকারিভাবে হচ্ছে।

ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালে সামান্য কিছু সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ে এবং মেডিকেল কলেজে মূল চিকিৎসা কিন্তু ফ্রি। চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সেবা সরকার ফ্রি দিয়ে যাচ্ছে। যেটা ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের মাধ্যমে দেওয়ার কথা। যেটা অনেকখানি হেলথ কাভারেজ বাংলাদেশ নিয়ে আসছে। শুধুমাত্র প্রাইভেট সেক্টরে যে সেবা দিয়ে থাকে, যারা সেখানে সেবা নেন তাদেরকে ব্যয় করতে হয়। সেখানে আমাদের ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের ব্যবস্থা আরও বেশি করে নিতে হবে। বেসরকারি সেক্টরের সেবার মূল্য দেওয়ার ব্যবস্থা আমাদেরকে ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের মাধ্যমে করতে হবে। করোনার সময় আমরা দেখেছি স্বাস্থ্যসেবা দিতে না পারলে দেশ থেমে যায়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো খুরশিদ আলম প্রমুখ।