যশোর জেলা প্রতিনিধি :
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য তাঁর ৫৭ বার ফাঁসি হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে যশোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় খুলনা বিভাগের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনা আক্রোশের রাজনীতি করতেন। আক্রোশের বশবর্তী হয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের তিনি গুম করেছেন, খুন করেছেন। বিভিন্নভাবে অত্যাচার জুলুম নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছিলেন। একই সঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীরা। এখন সেই সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে শেখ হাসিনার নির্দেশে। ৫৭ সেনাকর্মকর্তা হত্যার দায়ে ৫৭ বার ফাঁসি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, হাজার হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার মুক্ত বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই বাংলাদেশ আজ গণতান্ত্রিক ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সকল শহীদ ও গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের ফাঁসি হবে। এই বাংলাদেশে খুনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আর কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই।
সভায় আমান উল্লাহ আমান বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের সজাগ ও সতর্ক থেকে বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার বলেছেন, ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব, ইনশাআল্লাহ। কারণ জনগণ ভালো মানুষের দল বিএনপিকে চায়। বিএনপি অতীতে বারবার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে এবং আগামী দিনেও জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই আন্দোলনে আমরা হারিয়েছি ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সুমনসহ অনেককে গুম করা হয়েছে। কারণ শেখ হাসিনা আক্রোশের রাজনীতি করতেন। আক্রোশের বশবর্তী হয়ে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম, খুন করেছেন। যাদেরকে গুম করা হয়েছে, আমরা তাদের ফিরিয়ে চাচ্ছি।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার মধ্যে উল্লেখ করেছেন, বিগত ১৬ বছর যে সকল রাজনৈতিক দল আন্দোলনে ছিল, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। তিনি বলেছেন, দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, এটি তার বড় মনের পরিচয়। আমাদেরকে সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থেকে লক্ষ্য অবিচল রেখে কাজ করতে হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক প্রকৌশলী টি এস আইয়ূব, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান ইয়াহিয়া।