নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি প্রায় শেষ। ছুটির এই শেষবেলায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম থাকলেও পণ্যের দামে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে, বিশেষ করে মাছের বাজারে। সবজির বাজারে অবশ্য মানুষের আনাগোনা কিছুটা বেশি দেখা গেছে। ঈদের আগের তুলনায় সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি মিললেও মাছের দাম অনেকটাই বাড়তি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানির ঈদের পর সবার বাসাবাড়িতেই মাংস রয়েছে। তাই মাংসের চাহিদা কম। তবে ঈদ পরবর্তী মেহমানদারি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় মাছের চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। এদিকে ঈদে পরিবহন সংকটে সরবরাহ কম। ফলে বেড়েছে মাছের দাম।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতেও। আবার কিছু সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরেও। ঝিঙা, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, কাকরোল, করলা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, পটোল, চিচিঙা, ধুন্দল, লতির মতো সবজি। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ ও জালি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। শসা ৫০ টাকা, কাচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা ও টমেটো ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি কক মুরগি (সোনালি) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকায়।
ঈদের আগের তুলনায় অধিকাংশ মাছের দামই বেড়েছে। পাঙাশ মাছ ঈদের আগে যেখানে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা বেড়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়ার দাম ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩৫-২৫০ টাকা হয়েছে। রুই মাছ ৩০০-৩২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাতলা মাছের দাম ৩৫০-৪০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি। পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা। তবে দেশি জাতের শিং ও কৈ যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।