নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে। ভোর সোয়া ৪টার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ৪১৩ জন হজযাত্রী জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হন।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান দ্বিতীয় ফ্লাইটে সৌদি যান ৪১৭ জন। ভোর সাড়ে ৫টায় এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এরপর সকাল ৮টায় ফ্লাইনাস এয়ারের আরেকটি ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রথম দিন সাতটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাবে। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিনটি ছাড়াও সৌদিয়া ও ফ্লাইনাসের দুটি করে ফ্লাইট রয়েছে। প্রথম দিনের শিডিউল অনুযায়ী, সাতটি ফ্লাইটে দুই হাজার ৭৮৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হজে যাবেন। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হাজিদের পরিবহন করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এরমধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দাতে ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দাতে ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দাতে ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনাতে ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনাতে ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনাতে ১টি যাবে।
এছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এরমধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে আসবে ৪টি ফ্লাইট।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জেদ্দা ও মদিনায় পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় হজ অফিসে বিমান বোর্ডিং এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা হজ অফিসে বিমানের সেলস কাউন্টার এ ব্যালটি হাজিদের টিকিট ইস্যু এবং নন-ব্যালটি হাজিদের টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের সুবিধা রাখা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জুন।