Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে অটোরিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় সোহেল সিকদার (৩৭) নামে এক অটোরিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (৫ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পৌর শহরের বাদুরতলী স্লুইজগেট এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সোহেল শিকদার পটুয়াখালী জেলার বদরপুর গ্রামের গনি শিকদারের ছেলে।

পুলিশ ও মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহেল কলাপাড়া পৌর শহরে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাদুরতলী স্লুইজ এলাকার একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় স্ত্রী সুমি বেগমের সঙ্গে পারবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তার। পরে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৪টার দিকে স্ত্রী সুমি সেহরি খাওয়ার জন্য উঠে স্বামী সোহেলকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে খোজাখুঁজি শুরু করেন। পরে পাশের রুমে গিয়ে সোহেলকে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান।

এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সোহেলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

পটুয়াখালীতে অটোরিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় সোহেল সিকদার (৩৭) নামে এক অটোরিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (৫ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পৌর শহরের বাদুরতলী স্লুইজগেট এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সোহেল শিকদার পটুয়াখালী জেলার বদরপুর গ্রামের গনি শিকদারের ছেলে।

পুলিশ ও মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহেল কলাপাড়া পৌর শহরে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাদুরতলী স্লুইজ এলাকার একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় স্ত্রী সুমি বেগমের সঙ্গে পারবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তার। পরে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৪টার দিকে স্ত্রী সুমি সেহরি খাওয়ার জন্য উঠে স্বামী সোহেলকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে খোজাখুঁজি শুরু করেন। পরে পাশের রুমে গিয়ে সোহেলকে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান।

এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সোহেলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।