Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসাইনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত সাড়ে চারটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার পূর্ব লালপুর (পাকিস্তান খাদঁ) এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

নিহত মামুন হোসাইন ফতুল্লার পূর্ব লালপুর রেললাইন এলাকার মৃত সমন আরী বেপারীর ছেলে। তার ইট বালু সিমেন্টের ব্যবসা রয়েছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আক্তার ও সুমন এএ হত্যার সঙ্গে জড়িত। বেশ কয়েক মাস ধরেই আক্তার ও সুমন নিহত মামুনকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

নিহত মামুনের বড় ভাই আমজাদ জানান, মামুন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। তাকে কে বা কারা বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রেললাইন সংলগ্ন মামুনের মালিকানাধীন ‘মা-বাবার দোয়া’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়ে যায়। সেখানেই মামুনকে গুলি করে পালিয়ে যায় ঘাতক চক্র। গুলির শব্দ শুনে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে দেখতে পান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনেই পড়ে আছে মামুনের নিথর দেহ। পরে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমজাদের দাবি, আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আক্তার ও সুমন বাহিনীই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। বেশ কয়েক মাস ধরেই মামুনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল এই চক্রটি।

তিনি জানান, আজাদ নামের এক ছেলে নিহত মামুনের অফিসের ভেতর ঘুমায়। আজাদ তাকে জানিয়েছে যে, গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তাকিয়ে দেখে দুটি ছেলে দৌড়ে কোতালেরবাগ এলাকার দিকে চলে যাচ্ছে।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল মিয়া বলেন, নিহত মামুন ইট-বালু ও সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। প্রতি রাতে এসব লোড-আনলোডের সময়ে উপস্থিত থাকেন তিনি। রাত সাড়ে ৪টায় তাকে ফোন করে ডেকে আনা হয়। ওই সময় তাকে গুলি করা হয়। তার ডান চোখে অস্ত্র ঠেকিয়া গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজে পুরোনা রড ব্যবহারের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসাইনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত সাড়ে চারটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার পূর্ব লালপুর (পাকিস্তান খাদঁ) এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

নিহত মামুন হোসাইন ফতুল্লার পূর্ব লালপুর রেললাইন এলাকার মৃত সমন আরী বেপারীর ছেলে। তার ইট বালু সিমেন্টের ব্যবসা রয়েছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আক্তার ও সুমন এএ হত্যার সঙ্গে জড়িত। বেশ কয়েক মাস ধরেই আক্তার ও সুমন নিহত মামুনকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

নিহত মামুনের বড় ভাই আমজাদ জানান, মামুন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। তাকে কে বা কারা বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রেললাইন সংলগ্ন মামুনের মালিকানাধীন ‘মা-বাবার দোয়া’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়ে যায়। সেখানেই মামুনকে গুলি করে পালিয়ে যায় ঘাতক চক্র। গুলির শব্দ শুনে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে দেখতে পান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনেই পড়ে আছে মামুনের নিথর দেহ। পরে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমজাদের দাবি, আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আক্তার ও সুমন বাহিনীই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। বেশ কয়েক মাস ধরেই মামুনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল এই চক্রটি।

তিনি জানান, আজাদ নামের এক ছেলে নিহত মামুনের অফিসের ভেতর ঘুমায়। আজাদ তাকে জানিয়েছে যে, গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তাকিয়ে দেখে দুটি ছেলে দৌড়ে কোতালেরবাগ এলাকার দিকে চলে যাচ্ছে।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল মিয়া বলেন, নিহত মামুন ইট-বালু ও সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। প্রতি রাতে এসব লোড-আনলোডের সময়ে উপস্থিত থাকেন তিনি। রাত সাড়ে ৪টায় তাকে ফোন করে ডেকে আনা হয়। ওই সময় তাকে গুলি করা হয়। তার ডান চোখে অস্ত্র ঠেকিয়া গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।