আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শনিবার (৩ জুন) শপথ নিলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। পাঁচ বছরের জন্য তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। এরপর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তার গঠিত মন্ত্রিসভা প্রকাশ্যে আসে। এই দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার মধ্য দিয়ে এরদোয়ানের শাসনক্ষমতা তিন দশকে গড়াল।
তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান তার নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেছেন। নতুন মেয়াদে স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ছাড়া প্রায় পুরো মন্ত্রিসভাকেই ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। আঠারো সদস্যের মন্ত্রিসভায় প্রায় সব মন্ত্রীই নতুন। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পরিবর্তন করেননি। এতে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সেভডেত ইলমাজ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হাকান ফিদান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন আলী ইয়ারলিকায়া। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মেহমেত সিমসেক, ইউসুফ তেকিন হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে তুরস্কের চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ইয়াসার গুলার হয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইলমাজ তুনশি।
এর আগে শনিবার (৩ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর ৩টার দিকে গ্রান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয়বারের মতো শপথ নেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মাধ্যমে ২০ বছরের শাসনকে আরও পাঁচ বছরের জন্য প্রসারিত করবেন ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান।
শপথে এরদোয়ান বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে মহান তুর্কি জাতি ও এর ইতিহাসের সামনে আমার সম্মান ও সততার, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার শপথ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংবিধান, আইনের শাসন, গণতন্ত্র, আতাতুর্কের নীতি ও সংস্কার এবং ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের নীতি মেনে চলব।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশ্বের ৭৮টি দেশের প্রতিনিধি। এর মধ্যে ২১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ১৩টি দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আইনপ্রণেতারা ছিলেন।
এর আগে ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা ভোটে এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট।
অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পান ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট। দেশটির নিয়মানুযায়ী কোনো পক্ষই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট হয়। ২৮ মে এ ভোটে ৫২.১২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এরদোয়ান। অন্যদিকে কিলিচদারোগলু পান ৪৭.৮৮ শতাংশ ভোট। সূত্র : আলজাজিরা।