নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে যে আইনের শাসন আছে, এটা তারই একটা প্রতিফলন। আমি মনে করি দেশে আইনের শাসন আছে এবং আইনের শাসনে এ মামলার বিচারের দায়িত্ব আদালতের ছিল। সেই দায়িত্ব আদালত সম্পন্ন করেছে।
বুধবার (০২ আগস্ট) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসামিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সব সময় থাকবে, সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করব।
আসামীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে সরকারের উদ্যোগ থাকবে কিনা, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সবসময়ই থাকবে। সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা (আসামীকে) ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করব।
রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি মনে করি এটা বাংলাদেশে যে আইনের শাসন আছে তারই একটা প্রতিফলন এবং এটা অবশ্যই রাষ্ট্রের, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র যদি এ রকম দুর্নীতি করে আমার তো মনে হয় সেখানে একসেন্টারি সাজা দেওয়া দেওয়া উচিত। আদালত যে সাজা দিয়েছেন, আমি মনে করি দেশে আইনের শাসন আছে এবং আইনের শাসনে এই মামলায় বিচার করার দায়িত্ব আদালতের ছিল সেই দায়িত্ব আদালত সম্পন্ন করেছে।
জিয়া পরিবারকে সরাতে আদালতকে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলেরজিয়া পরিবারকে সরাতে আদালতকে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের তার এ বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে আইনমন্ত্রী বলেন, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা দায়ের করার পরে হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগ দ্বারা এই মামলা চলবে, এই রায়ের পরে মামলার বিচারিক কাজ সম্পন্ন হয়।
আনিসুল হক বলেন, মামলাটা দায়েরের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। তখন সেই তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাথে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনা প্রধানের যথেষ্ট সখ্যতা ছিল, সেটা সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই। তারাই দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছিল। তারা যদি বলেন ফরমায়েসি তাহলে, আইন সম্বন্ধে তাদের জ্ঞান নিয়ে আমার সন্দেহ হয়।
বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে এই রায় দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বিভ্রান্ত করার কি আছে? বিচারিক কাজ হয়েছে, রায় বেরিয়েছে। সাজা দেওয়াটা, আসামী তো আগে থেকেই সাজাপ্রাপ্ত। একুগে অগাস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন পেয়েছেন, আরেকটি দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট তাকে সাত বছর দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। নতুন করে এটা দিয়ে ওনার ভাবমুর্তি খারাপ করার তো আমাদের প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়ে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, এক দিকে বলা হয় যে এখানে বিচার হয় না, কারণ সবকিছু অত্যন্ত স্থুল গতিতে চলে। আবার আরেকদিকে বলা হয়, বিচার তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। প্রথম কথা হচ্ছে যে, তর্কটা যৌক্তিক হওয়া ভালো, এখানে অযৌক্তিক তর্ক করে শুধু একটি দোষী বা নির্দোষ এটা আদালতের ব্যাপার, আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। কথা হচ্ছে যে দোষ যখন করেছে তখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা না করাই উচিত।