Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশ ছেড়ে পালাতে হয়, এমন রাজনীতি করা যাবে না : জামায়াত আমির

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতি-দুঃশাসন করে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। তাই এমন রাজনীতি করা যাবে না, যাতে ফ্যাসিবাদের মতো দেশ ছেড়ে পালাতে হয়।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতের গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।

জামায়াত আমির বলেন, অতীতে সোনার বাংলা কায়েম করতে গিয়ে শোষণ করা হয়েছে। দুঃশাসন থেকে জাতি এখন মুক্তি চায়। তাই জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, কোরআনই একমাত্র সোনার বাংলা কায়েমের গ্যারান্টি দিতে পারে। আর কেউই দিতে পারবে না। বাংলার জমিনে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ। এখন হবে কোরআনের বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জামায়াতের শীর্ষ ১০ নেতাকে খুন করা হয়েছে মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ১৩ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুঁকে ধুঁকে আজহারুল ইসলাম জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন। দয়া করে এখনই তাকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তাকে ভেতরে রেখে আমি আর বাহিরে থাকতে চাই না। সরকারকে অনুরোধ করেছি, ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি স্বেচ্ছায় নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে বলবো আমাকে গ্রেফতার করুন। আমাকে কারাগারে পাঠান। যেদিন আজহার ভাই মুক্তি পাবেন, পরদিন আমাকে মুক্তি দিয়েন।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে সরাসরিভাবে দেশের ৩ কোটি মানুষ সমর্থন করে। তাকে যদি মুক্তি না দেন, এই তিন কোটি মানুষ জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫৪ বছরে এ বাংলাদেশের অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। দফায় দফায় রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছে। এই ৫৪ বছরে অনেক জনের শাসন আমরা দেখেছি। অনেক আদর্শের কথা আপনারা শুনেছেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ইসলামের আদর্শের শাসন এখনও দেখার সুযোগ হয়নি। অতিতে সোনার বাংলা কায়েম করতে গিয়ে, শশ্মান বাংলা কায়েম করেছে। কোরআন’ই একমাত্র সোনার বাংলা কায়েমের গ্যারান্টি দিতে পারে। আর কেউই দিতে পারবে না। বাংলার জমিনে তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ। এখন হবে ইনশাআল্লাহ কোরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ৫৩ বছর চলে গেল আমরা সত্যিকারের স্বাধীনতা পেলাম না। এর আগেও ৪৭ সালে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম তখনও পেলাম না। এখন ২৪ এ মানুষ বুক ভরা আশা নিয়ে, বুক পেতে দেওয়া গুলি নিয়ে মানুষ আশা করেছিল, যে ২৪ এর পরে সমস্য দুঃশাসন-দুর্নীতির অবসান হবে। আমরা মুক্ত হতে পারিনি। আমাদের সন্তানেরা একটি বিশাল স্বপ্ন নিয়ে তারা জীবন দিয়েছিল। আমাদের প্রিয় সন্তান বুক পেতে ডানা মেলে বলেছিল, বুকের ভেতরে তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর। সেই ঝড়টা ছিল সমাজের অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি এবং দুঃশাসন। কোন যুগেই যুবকরা কখনো দুর্নীতি এবং দুঃশাসনকে সমর্থন করে না। বরঞ্চ তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠে, প্রতিবাদ করে, প্রতিরোধ করে, যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়। হয় শহীদ হয়, না হয় গাজী হয়। মাঝখানে আর কিছু নেই।

তিনি আরো বলেন, এমন রাজনীতিকে ঘৃণা করি, যে রাজনীতি করতে গেলে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। এমন জীবন গঠন করি, যে জীবন সর্ববস্থায় আমাদের জন্য সম্মানের হয়। ফাঁসির রসিতে ঝুললেও যেন সম্মানের হয়। আবু সাঈদের মতো বুক পেতে গুলি নিলে সেটাও যেন আনন্দের হয়। রাজনীতিবিদদের জীবন এমন হওয়া উচিত। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি যারা করেন তারা কোন দলের কোন ধর্মের কোন প্রজাতির কোন গোষ্ঠীর এটি না দেখে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো, বন্ধুরা দয়া করে শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখান। আমাদের শহীদদের রক্তকে তোমরা অপমানিত করবা না। অপকর্ম ছেড়ে দাও। খাওয়ার অভাব হলে আমরা আশ্বস্ত করছি, আল্লাহ আমাদের যে নেয়ামত দিয়েছে সমস্ত মানুষ মিলে ভাগবাটোয়ারা করে খাবো। তোমরা চাঁদাবাজি ছেড়ে দাও। দখল বাণিজ্য ছেড়ে দাও। তোরা মানুষকে কষ্ট দিও না।

দলীয় সহকর্মী ও দেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে জামায়াতের আমির আবেগ-উদ্বেগ বহিঃপ্রকাশ করে বলেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম সাহেব এখনও বন্দী রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতৃবৃন্দ মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দী জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন। তাকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।

এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেফতার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকব। আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবে, ইনশাআল্লাহ।’ এটিএম আজহারুল ভাইর মুক্তির একদিন পর আমি বের হব।

জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর শাখার আমির মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে গণ-জমায়েতে বক্তব্য দেন, শীর্ষ নেতা মাওলানা এটিএম মাসুম, কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, শাহাজাহান চৌধুরী, ডা. রেজাউল করিম, লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট নজির আহমেদ, এ আর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী ও সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদসহ প্রমুখ।

জেলা জামায়াতের আমির মাষ্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মো. ফারুক হোসাইন নুরনবীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান ও ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরামের সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আযিম প্রমুখ।

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ৫ দফা দাবিতে ১৫ দিনের আলটিমেটাম (ভিডিও)

দেশ ছেড়ে পালাতে হয়, এমন রাজনীতি করা যাবে না : জামায়াত আমির

প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতি-দুঃশাসন করে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। তাই এমন রাজনীতি করা যাবে না, যাতে ফ্যাসিবাদের মতো দেশ ছেড়ে পালাতে হয়।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতের গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।

জামায়াত আমির বলেন, অতীতে সোনার বাংলা কায়েম করতে গিয়ে শোষণ করা হয়েছে। দুঃশাসন থেকে জাতি এখন মুক্তি চায়। তাই জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, কোরআনই একমাত্র সোনার বাংলা কায়েমের গ্যারান্টি দিতে পারে। আর কেউই দিতে পারবে না। বাংলার জমিনে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ। এখন হবে কোরআনের বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জামায়াতের শীর্ষ ১০ নেতাকে খুন করা হয়েছে মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ১৩ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুঁকে ধুঁকে আজহারুল ইসলাম জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন। দয়া করে এখনই তাকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তাকে ভেতরে রেখে আমি আর বাহিরে থাকতে চাই না। সরকারকে অনুরোধ করেছি, ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি স্বেচ্ছায় নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে বলবো আমাকে গ্রেফতার করুন। আমাকে কারাগারে পাঠান। যেদিন আজহার ভাই মুক্তি পাবেন, পরদিন আমাকে মুক্তি দিয়েন।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে সরাসরিভাবে দেশের ৩ কোটি মানুষ সমর্থন করে। তাকে যদি মুক্তি না দেন, এই তিন কোটি মানুষ জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫৪ বছরে এ বাংলাদেশের অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। দফায় দফায় রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছে। এই ৫৪ বছরে অনেক জনের শাসন আমরা দেখেছি। অনেক আদর্শের কথা আপনারা শুনেছেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ইসলামের আদর্শের শাসন এখনও দেখার সুযোগ হয়নি। অতিতে সোনার বাংলা কায়েম করতে গিয়ে, শশ্মান বাংলা কায়েম করেছে। কোরআন’ই একমাত্র সোনার বাংলা কায়েমের গ্যারান্টি দিতে পারে। আর কেউই দিতে পারবে না। বাংলার জমিনে তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ। এখন হবে ইনশাআল্লাহ কোরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ৫৩ বছর চলে গেল আমরা সত্যিকারের স্বাধীনতা পেলাম না। এর আগেও ৪৭ সালে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম তখনও পেলাম না। এখন ২৪ এ মানুষ বুক ভরা আশা নিয়ে, বুক পেতে দেওয়া গুলি নিয়ে মানুষ আশা করেছিল, যে ২৪ এর পরে সমস্য দুঃশাসন-দুর্নীতির অবসান হবে। আমরা মুক্ত হতে পারিনি। আমাদের সন্তানেরা একটি বিশাল স্বপ্ন নিয়ে তারা জীবন দিয়েছিল। আমাদের প্রিয় সন্তান বুক পেতে ডানা মেলে বলেছিল, বুকের ভেতরে তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর। সেই ঝড়টা ছিল সমাজের অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি এবং দুঃশাসন। কোন যুগেই যুবকরা কখনো দুর্নীতি এবং দুঃশাসনকে সমর্থন করে না। বরঞ্চ তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠে, প্রতিবাদ করে, প্রতিরোধ করে, যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়। হয় শহীদ হয়, না হয় গাজী হয়। মাঝখানে আর কিছু নেই।

তিনি আরো বলেন, এমন রাজনীতিকে ঘৃণা করি, যে রাজনীতি করতে গেলে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। এমন জীবন গঠন করি, যে জীবন সর্ববস্থায় আমাদের জন্য সম্মানের হয়। ফাঁসির রসিতে ঝুললেও যেন সম্মানের হয়। আবু সাঈদের মতো বুক পেতে গুলি নিলে সেটাও যেন আনন্দের হয়। রাজনীতিবিদদের জীবন এমন হওয়া উচিত। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি যারা করেন তারা কোন দলের কোন ধর্মের কোন প্রজাতির কোন গোষ্ঠীর এটি না দেখে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো, বন্ধুরা দয়া করে শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখান। আমাদের শহীদদের রক্তকে তোমরা অপমানিত করবা না। অপকর্ম ছেড়ে দাও। খাওয়ার অভাব হলে আমরা আশ্বস্ত করছি, আল্লাহ আমাদের যে নেয়ামত দিয়েছে সমস্ত মানুষ মিলে ভাগবাটোয়ারা করে খাবো। তোমরা চাঁদাবাজি ছেড়ে দাও। দখল বাণিজ্য ছেড়ে দাও। তোরা মানুষকে কষ্ট দিও না।

দলীয় সহকর্মী ও দেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে জামায়াতের আমির আবেগ-উদ্বেগ বহিঃপ্রকাশ করে বলেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম সাহেব এখনও বন্দী রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতৃবৃন্দ মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দী জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন। তাকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।

এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেফতার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকব। আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবে, ইনশাআল্লাহ।’ এটিএম আজহারুল ভাইর মুক্তির একদিন পর আমি বের হব।

জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর শাখার আমির মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে গণ-জমায়েতে বক্তব্য দেন, শীর্ষ নেতা মাওলানা এটিএম মাসুম, কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, শাহাজাহান চৌধুরী, ডা. রেজাউল করিম, লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট নজির আহমেদ, এ আর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী ও সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদসহ প্রমুখ।

জেলা জামায়াতের আমির মাষ্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মো. ফারুক হোসাইন নুরনবীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান ও ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরামের সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আযিম প্রমুখ।