Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নাই : ১২ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, সরকার এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়তে শুরু করেছে। জাতিসংঘ সরকারের গলাটিপে ধরবে। আমেরিকা স্যাংশন দিয়ে অর্থনীতির বারোটা বাজাবে। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নাই। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ‘প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন এলাকায় মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি’ শেষে নেতারা এসব কথা বলেন।

নেতারা বলেন, একদলীয় সরকারের অধীনে সাজানো ডামি নির্বাচনে সারা দেশে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল ৪টার পরে ভোটের খালি বাক্সগুলো কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিয়ে ব্যালট ভর্তি গায়েবি বাক্স এনে ভোট গণনা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় গায়েবি বাক্সের ভোটে অবৈধভাবে নির্বাচিত এমপিদের নাম ঘোষণা করে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন।

নেতারা এমপিদের শপথ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোন নৈতিক অধিকার নেই। এ সরকারের চূড়ান্ত পরিণতির কথা জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে। ৭ তারিখ নির্বাচন হয়নি এটি আওয়ামী লীগের সার্কাস খেলা হয়েছে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ৭ তারিখ আওয়ামী লীগের রং-তামাশার নির্বাচন খেলা শেষ হয়েছে। এই খেলায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয় হয়েছে এবং দেশের জনগণ ও যুগপৎ আন্দোলনের শরীকরা বিজয় অর্জন করেছেন। এখন সময় শুধু শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এ প্রহসনের নির্বাচনে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে নষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনীতিকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হলো। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

মৌন মিছিল শেষে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ খান বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন প্রমুখ।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নাই : ১২ দলীয় জোট

প্রকাশের সময় : ০৪:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, সরকার এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়তে শুরু করেছে। জাতিসংঘ সরকারের গলাটিপে ধরবে। আমেরিকা স্যাংশন দিয়ে অর্থনীতির বারোটা বাজাবে। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নাই। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ‘প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন এলাকায় মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি’ শেষে নেতারা এসব কথা বলেন।

নেতারা বলেন, একদলীয় সরকারের অধীনে সাজানো ডামি নির্বাচনে সারা দেশে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল ৪টার পরে ভোটের খালি বাক্সগুলো কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিয়ে ব্যালট ভর্তি গায়েবি বাক্স এনে ভোট গণনা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় গায়েবি বাক্সের ভোটে অবৈধভাবে নির্বাচিত এমপিদের নাম ঘোষণা করে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন।

নেতারা এমপিদের শপথ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোন নৈতিক অধিকার নেই। এ সরকারের চূড়ান্ত পরিণতির কথা জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে। ৭ তারিখ নির্বাচন হয়নি এটি আওয়ামী লীগের সার্কাস খেলা হয়েছে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ৭ তারিখ আওয়ামী লীগের রং-তামাশার নির্বাচন খেলা শেষ হয়েছে। এই খেলায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয় হয়েছে এবং দেশের জনগণ ও যুগপৎ আন্দোলনের শরীকরা বিজয় অর্জন করেছেন। এখন সময় শুধু শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এ প্রহসনের নির্বাচনে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে নষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনীতিকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হলো। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

মৌন মিছিল শেষে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ খান বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন প্রমুখ।