Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রোববার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তুরস্কে রোববার (১৪ মে) হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য এবারের নির্বাচনটিকে ‘কঠিন পরীক্ষা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কারণ গত ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবার দেশটির ছয়টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। আর এ জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন কেমাল কিলিকদারোগলো। তুরস্কের ইতিহাসে এর আগে কখনো এতগুলো দলকে ‘এক হতে’ দেখা যায়নি।

‘শান্ত ও নরম সুরে’ কথা বলা মানুষ কেমাল এবার এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করে দিতে পারেন— বিভিন্ন জরিপে ওঠে এসেছে এমনই তথ্য।

শুক্রবার (১২ মে) রাজধানী আঙ্কারায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন ৭৪ বছর বয়সী কেমাল। এই সমাবেশে তিনি শক্তিশালী বক্তব্য দেন। কূটনীতিক থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া কেমাল দাবি করেছেন, রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার নিজ স্বার্থ হাসিলে পার্লামেন্টের ক্ষমতা কমিয়েছেন। ধর্মনিরপেক্ষ এ রাজনীতিবিদ কথা দিয়েছেন, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে পার্লামেন্টের পুরোনো ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবেন।

নির্বাচনের আগে যেসব জরিপ চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে কেমাল এরদোয়ানের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন। কেমালের সমর্থকরা ‘স্বপ্ন’ দেখছেন তাদের প্রার্থী কালকের নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন। মানে নির্বাচনের প্রথম দফাতেই তার জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তুরস্কের নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এককভাবে ৫০ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পেতে হবে। এমনটি যদি না হয় তাহলে যে দু’জন প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তাদের মধ্যে দুই সপ্তাহ পর রানঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কেমালের সমর্থকরা আশা করছেন, রানঅফ নয়— কালই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট তিনি পাবেন।

তুরস্কে এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৫০ লাখ তরুণ। তাদের মধ্যে একজন হলেন ফিরাত। তিনি কেমালেরর সঙ্গে যেসব দল জোট বেঁধেছেন তাদের প্রশংসা করেছেন। এ ভোটার বলেছেন রক্ষণশীল এবং জাতীয়তাবাদী দলগুলো একই প্লাটফর্মে এসেছে এটি সবার জন্য বেশ ভালো একটি বিষয়।

কেমাল নিজে একজন ধর্মনিরপেক্ষ হলেও তিনি জানিয়েছেন, যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে তুরস্কে নারীদের হিজাব পরার যে অধিকার রয়েছে, এতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না।

এদিকে এবারের নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের মাত্র তিন আগে মুহারেম ইনস নামের এক প্রার্থী সরে দাঁড়ান। ধারণা করা হচ্ছে এ বিষয়টি এরদোয়ানের জন্য খারাপ হতে পারে।

গত ৮ মার্চ পরিচালিত একটি জরিপের ফলে দেখা গেছে, বিরোধী জোটের প্রার্থী কিলিকদারোগলু ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে এগিয়ে রয়েছেন। যেখানে এরদোগানের সমর্থন দেখানো হয়েছে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

জরিপটির ফলাফলে আরও দেখা গেছে, প্রধান বিরোধী জোটকে সমর্থন করছেন ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার। অপরদিকে একে পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটের সমর্থন দেখা যাচ্ছে ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ।

অন্যদিকে গত ৬-৭ মার্চ একটি জরিপ পরিচালনা করে আলফ রিসার্চ। যেখানে দেখা যায়, কিলিকদারোগলুর সমর্থন রয়েছে ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ। বিপরীতে এরদোয়ানকে সমর্থন করছেন ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ।

এ ছাড়া কিলিকদারোগলুর রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। আর একে পার্টির সমর্থন দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশ। এ জরিপে প্রধান বিরোধী ব্লকের সমর্থন দেখানো হয়েছে ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অপরদিকে একে পার্টি ও তার মিত্র এমএইচপির সমর্থন দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

পিয়ার রিসার্চ তাদের জরিপে দেখিয়েছে, কিলিকদারোগলু ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এরদোয়ানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। জরিপটির ফলাফলে এরদোয়ানের সমর্থন দেখানো হয়েছে ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ। এ জরিপ অনুযায়ী, প্রধান বিরোধী জোটের সমর্থন ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং একেপি (একে পার্টি) ও এমএইচপি জোটের সমর্থন রয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ। জরিপটির ফল প্রকাশ হয়েছে গত ১০ মার্চ।

এছাড়া ওআরসি রিসার্চ তাদের ফলাফলে দেখিয়েছে যে, কিলিকদারোগলুর সমর্থন ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যেখানে এরদোয়ানের সমর্থন রয়েছে ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ। জরিপটি পরিচালনা করা হয় গত ৪-৬ মার্চ। তখন কিলিকদারোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী জোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে এক লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫ ব্যালট বক্স দেশটির বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। তুরস্কের ভোটাররা আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত করবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ দেশ-বিদেশ থেকে ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন।

এবারের নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এতে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিরিচদারোলু ও সিনান ওগান।

দুই দশক ধরে তুরস্ক শাসন করছেন এরদোয়ান। সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট-প্রধান ব্যবস্থা চালু করেছেন। কড়াহাতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করেছেন। ইউরোপ তথা বিশ্ব যেন তুরস্ককে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হয় সেই চেষ্টা করেছেন। এর আগের নির্বাচনগুলোতে কার্যত তেমন কোনো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েননি তিনি। কিন্তু এবার পড়েছেন।

প্রেসিডেন্ট থাকার ক্ষেত্রে এরদোয়ানের পথে প্রধান কাঁটা হলো, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ। শুধু যে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে তা নয়, দেশটির অর্থনীতিও সংকটে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথা না শুনে এরদোয়ান নিজের আর্থিক নীতিতে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যার কারণে সংকট আরও বেড়েছে। তার প্রভাব গিয়ে পড়েছে মানুষের জীবনে, কর্মসংস্থানে। সূত্র: বিবিসি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক, তিন উপজেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রোববার

প্রকাশের সময় : ১১:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তুরস্কে রোববার (১৪ মে) হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য এবারের নির্বাচনটিকে ‘কঠিন পরীক্ষা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কারণ গত ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবার দেশটির ছয়টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। আর এ জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন কেমাল কিলিকদারোগলো। তুরস্কের ইতিহাসে এর আগে কখনো এতগুলো দলকে ‘এক হতে’ দেখা যায়নি।

‘শান্ত ও নরম সুরে’ কথা বলা মানুষ কেমাল এবার এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করে দিতে পারেন— বিভিন্ন জরিপে ওঠে এসেছে এমনই তথ্য।

শুক্রবার (১২ মে) রাজধানী আঙ্কারায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন ৭৪ বছর বয়সী কেমাল। এই সমাবেশে তিনি শক্তিশালী বক্তব্য দেন। কূটনীতিক থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া কেমাল দাবি করেছেন, রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার নিজ স্বার্থ হাসিলে পার্লামেন্টের ক্ষমতা কমিয়েছেন। ধর্মনিরপেক্ষ এ রাজনীতিবিদ কথা দিয়েছেন, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে পার্লামেন্টের পুরোনো ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবেন।

নির্বাচনের আগে যেসব জরিপ চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে কেমাল এরদোয়ানের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন। কেমালের সমর্থকরা ‘স্বপ্ন’ দেখছেন তাদের প্রার্থী কালকের নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন। মানে নির্বাচনের প্রথম দফাতেই তার জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তুরস্কের নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এককভাবে ৫০ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পেতে হবে। এমনটি যদি না হয় তাহলে যে দু’জন প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তাদের মধ্যে দুই সপ্তাহ পর রানঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কেমালের সমর্থকরা আশা করছেন, রানঅফ নয়— কালই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট তিনি পাবেন।

তুরস্কে এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৫০ লাখ তরুণ। তাদের মধ্যে একজন হলেন ফিরাত। তিনি কেমালেরর সঙ্গে যেসব দল জোট বেঁধেছেন তাদের প্রশংসা করেছেন। এ ভোটার বলেছেন রক্ষণশীল এবং জাতীয়তাবাদী দলগুলো একই প্লাটফর্মে এসেছে এটি সবার জন্য বেশ ভালো একটি বিষয়।

কেমাল নিজে একজন ধর্মনিরপেক্ষ হলেও তিনি জানিয়েছেন, যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে তুরস্কে নারীদের হিজাব পরার যে অধিকার রয়েছে, এতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না।

এদিকে এবারের নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের মাত্র তিন আগে মুহারেম ইনস নামের এক প্রার্থী সরে দাঁড়ান। ধারণা করা হচ্ছে এ বিষয়টি এরদোয়ানের জন্য খারাপ হতে পারে।

গত ৮ মার্চ পরিচালিত একটি জরিপের ফলে দেখা গেছে, বিরোধী জোটের প্রার্থী কিলিকদারোগলু ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে এগিয়ে রয়েছেন। যেখানে এরদোগানের সমর্থন দেখানো হয়েছে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

জরিপটির ফলাফলে আরও দেখা গেছে, প্রধান বিরোধী জোটকে সমর্থন করছেন ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার। অপরদিকে একে পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটের সমর্থন দেখা যাচ্ছে ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ।

অন্যদিকে গত ৬-৭ মার্চ একটি জরিপ পরিচালনা করে আলফ রিসার্চ। যেখানে দেখা যায়, কিলিকদারোগলুর সমর্থন রয়েছে ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ। বিপরীতে এরদোয়ানকে সমর্থন করছেন ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ।

এ ছাড়া কিলিকদারোগলুর রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। আর একে পার্টির সমর্থন দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশ। এ জরিপে প্রধান বিরোধী ব্লকের সমর্থন দেখানো হয়েছে ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অপরদিকে একে পার্টি ও তার মিত্র এমএইচপির সমর্থন দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

পিয়ার রিসার্চ তাদের জরিপে দেখিয়েছে, কিলিকদারোগলু ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এরদোয়ানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। জরিপটির ফলাফলে এরদোয়ানের সমর্থন দেখানো হয়েছে ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ। এ জরিপ অনুযায়ী, প্রধান বিরোধী জোটের সমর্থন ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং একেপি (একে পার্টি) ও এমএইচপি জোটের সমর্থন রয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ। জরিপটির ফল প্রকাশ হয়েছে গত ১০ মার্চ।

এছাড়া ওআরসি রিসার্চ তাদের ফলাফলে দেখিয়েছে যে, কিলিকদারোগলুর সমর্থন ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যেখানে এরদোয়ানের সমর্থন রয়েছে ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ। জরিপটি পরিচালনা করা হয় গত ৪-৬ মার্চ। তখন কিলিকদারোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী জোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে এক লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫ ব্যালট বক্স দেশটির বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। তুরস্কের ভোটাররা আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত করবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ দেশ-বিদেশ থেকে ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন।

এবারের নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এতে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিরিচদারোলু ও সিনান ওগান।

দুই দশক ধরে তুরস্ক শাসন করছেন এরদোয়ান। সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট-প্রধান ব্যবস্থা চালু করেছেন। কড়াহাতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করেছেন। ইউরোপ তথা বিশ্ব যেন তুরস্ককে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হয় সেই চেষ্টা করেছেন। এর আগের নির্বাচনগুলোতে কার্যত তেমন কোনো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েননি তিনি। কিন্তু এবার পড়েছেন।

প্রেসিডেন্ট থাকার ক্ষেত্রে এরদোয়ানের পথে প্রধান কাঁটা হলো, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ। শুধু যে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে তা নয়, দেশটির অর্থনীতিও সংকটে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথা না শুনে এরদোয়ান নিজের আর্থিক নীতিতে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যার কারণে সংকট আরও বেড়েছে। তার প্রভাব গিয়ে পড়েছে মানুষের জীবনে, কর্মসংস্থানে। সূত্র: বিবিসি।