Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেকের আসল লোক খসরু, ফখরুল নয় : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দণ্ডিত ব্যক্তি তারেক রহমানের নির্দেশে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সময় বিএনপির রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেকের আসল লোক আমীর খসরু, মির্জা ফখরুল নয়।

শনিবার (১৩ মে) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন। বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের ডাক আসে টেমস নদীর ওপার থেকে। যিনি আন্দোলনের নির্দেশ দেন তিনি পলাতক ও দণ্ডিত আসামি।

দণ্ডিত ব্যক্তির বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে উল্লেখ করে আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অনলাইনে দণ্ডিত ব্যক্তি বক্তৃতা করতে পারবেন না, অথচ তারেক রহমান দিনের পর দিন অনলাইনে বক্তব্য দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  বলেন, বিএনপি আজকে বলছে, সেইফ এক্সিট চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে সরে যেতে, আপনাদের কেউ আমরা বলেছি সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে কারা সেইফ এক্সিট নেবে তা জনগণই ঠিক করবে। সেইফ এক্সিট নির্বাচনে হবে। আপনাদের মিনমিনে আন্দোলনে সেইফ এক্সিট হয় না। নেতা ছাড়া আন্দোলন, নেতা ছাড়া নির্বাচন কখনোই হতে পারে না। এটাই হলো বাস্তবতা।  বিদেশিরা আমাদের বন্ধু। তারা পরামর্শ দিতে পারে, ক্ষমতায় বসাতে পারে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিদেশে গিয়েছেন, নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য যাননি। শেখ হাসিনা বিদেশে ক্ষমতার জন্য যাননি, নালিশ করতে যাননি। দেশের উন্নয়নে, দেশের অর্থনীতিকে বলিয়ান করতে বিদেশিদের আহ্বানে বিদেশে গিয়েছিলেন।

বিএনপিকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, আপনাদেরতো আমন্ত্রণ করার প্রয়োজন নাই, সকালে ঘুম থেকে উঠে, মুখ না ধুয়েই আমেরিকান দূতাবাসে গিয়ে হাজির হন, নালিশ করার জন্য। আপনারা নিজেরা গিয়ে গায়ে পড়ে নালিশ করেন। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নালিশ করে না। বিদেশিরা আমাদের বন্ধু আমাদের পরামর্শ দিতে পারে, কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণও আমাদের সাথে আছে। নালিশ করে আমরা ক্ষমতায় যেতে চায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যতই হাঁকডাক দেন, আমরা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের মাটিতে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিন শেষ, ওটা এখন মিউজিয়ামে চলে গেছে। ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মুখে, গলাবাজিতে থাকবে, বাস্তবে নাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে কী হবে না সেটা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাদের সংবিধান নির্বাচনের বিধি-বিধান ঠিক করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছুই বলেনি।

বিএনপি নেতরা সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেই পার্টি করি, যে পার্টি কৃষকের ধান কেটে দেয়, নিজেরা ইফতার না করে, সেই টাকায় জনগণকে ইফতার বিতরণ করি, করোনায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেই শেখ হাসিনার নির্দেশে। এজন্যই ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেন, সে এবং তার পরিবার শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন। কিভাবে অস্বীকার করবেন যে শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক হয়নি। আমির খসরু সাহেব, এগুলো কী মিথ্যা। এগুলো কী পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়নি। ঋষি সুনাক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংক আইএমএফের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনার কী কী প্রশংসা করেছেন, আপনার কী সেগুলো পড়ার সুযোগ হয়নি। আন্দোলনের সাথে সন্ত্রাস উপাদান যোগ করে হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটাবেন, আবার আপনাদের এটাও প্রতিজ্ঞা আছে নির্বাচন রুখে দেবেন। আমরাও প্রস্তুত, কে নির্বাচন রুখতে আসে আমরা দেখব। কারা আসে নির্বাচন রুখতে আমরা দেখব।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার সহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

তারেকের আসল লোক খসরু, ফখরুল নয় : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দণ্ডিত ব্যক্তি তারেক রহমানের নির্দেশে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সময় বিএনপির রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেকের আসল লোক আমীর খসরু, মির্জা ফখরুল নয়।

শনিবার (১৩ মে) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন। বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের ডাক আসে টেমস নদীর ওপার থেকে। যিনি আন্দোলনের নির্দেশ দেন তিনি পলাতক ও দণ্ডিত আসামি।

দণ্ডিত ব্যক্তির বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে উল্লেখ করে আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অনলাইনে দণ্ডিত ব্যক্তি বক্তৃতা করতে পারবেন না, অথচ তারেক রহমান দিনের পর দিন অনলাইনে বক্তব্য দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  বলেন, বিএনপি আজকে বলছে, সেইফ এক্সিট চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে সরে যেতে, আপনাদের কেউ আমরা বলেছি সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে কারা সেইফ এক্সিট নেবে তা জনগণই ঠিক করবে। সেইফ এক্সিট নির্বাচনে হবে। আপনাদের মিনমিনে আন্দোলনে সেইফ এক্সিট হয় না। নেতা ছাড়া আন্দোলন, নেতা ছাড়া নির্বাচন কখনোই হতে পারে না। এটাই হলো বাস্তবতা।  বিদেশিরা আমাদের বন্ধু। তারা পরামর্শ দিতে পারে, ক্ষমতায় বসাতে পারে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিদেশে গিয়েছেন, নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য যাননি। শেখ হাসিনা বিদেশে ক্ষমতার জন্য যাননি, নালিশ করতে যাননি। দেশের উন্নয়নে, দেশের অর্থনীতিকে বলিয়ান করতে বিদেশিদের আহ্বানে বিদেশে গিয়েছিলেন।

বিএনপিকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, আপনাদেরতো আমন্ত্রণ করার প্রয়োজন নাই, সকালে ঘুম থেকে উঠে, মুখ না ধুয়েই আমেরিকান দূতাবাসে গিয়ে হাজির হন, নালিশ করার জন্য। আপনারা নিজেরা গিয়ে গায়ে পড়ে নালিশ করেন। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নালিশ করে না। বিদেশিরা আমাদের বন্ধু আমাদের পরামর্শ দিতে পারে, কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণও আমাদের সাথে আছে। নালিশ করে আমরা ক্ষমতায় যেতে চায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যতই হাঁকডাক দেন, আমরা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের মাটিতে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিন শেষ, ওটা এখন মিউজিয়ামে চলে গেছে। ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মুখে, গলাবাজিতে থাকবে, বাস্তবে নাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে কী হবে না সেটা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাদের সংবিধান নির্বাচনের বিধি-বিধান ঠিক করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছুই বলেনি।

বিএনপি নেতরা সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেই পার্টি করি, যে পার্টি কৃষকের ধান কেটে দেয়, নিজেরা ইফতার না করে, সেই টাকায় জনগণকে ইফতার বিতরণ করি, করোনায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেই শেখ হাসিনার নির্দেশে। এজন্যই ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেন, সে এবং তার পরিবার শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন। কিভাবে অস্বীকার করবেন যে শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক হয়নি। আমির খসরু সাহেব, এগুলো কী মিথ্যা। এগুলো কী পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়নি। ঋষি সুনাক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংক আইএমএফের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনার কী কী প্রশংসা করেছেন, আপনার কী সেগুলো পড়ার সুযোগ হয়নি। আন্দোলনের সাথে সন্ত্রাস উপাদান যোগ করে হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটাবেন, আবার আপনাদের এটাও প্রতিজ্ঞা আছে নির্বাচন রুখে দেবেন। আমরাও প্রস্তুত, কে নির্বাচন রুখতে আসে আমরা দেখব। কারা আসে নির্বাচন রুখতে আমরা দেখব।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার সহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।