আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশত ব্যক্তি। ভূমিকম্পের ফলে হুয়ালিয়েন শহরের বেশ কিছু ভবন হেলে গেছে। তবে ভবনগুলোতে কত মানুষ আটকা পড়েছে তা বলা হয়নি।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পুরো তাইওয়ান।
মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালেন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে দক্ষিণ জাপান এবং ফিলিপাইনের কিছু অংশের জন্যও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে বহু বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। স্কুল ও আবাসিক ভবন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
তাইওয়ানের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫০ জনেরও বেশি মানুষ ভূমিকম্পে আহত হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।
ইন্টারনেট মনিটরিং গ্রুপ নেটব্লকসের জানিয়েছে, পুরো তাইয়ানজুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এবং ইন্টারনেট বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে।
মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, এপিসেন্টার তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল। ৭টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পন হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।
ভূমিকম্পের সময়ের কথা বলতে গিয়ে এক বাসিন্দা বলেন, যখন ভূমিকম্প প্রথম আঘাত হানে তখন ভেবেছিলাম বাড়ির পাশের উঁচু রাস্তা থেকে ট্রাকের গর্জন আসছে। তারপর গর্জনটি দ্রুত বড় হতে থাকে এবং আমার অ্যাপার্টমেন্টটি জাহাজের মতো সামনে পেছনে দোলাতে থাকে। আমি বই এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সেলফ থেকে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পাই।
তাইওয়ানে ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্রের পরিচালক উ চিয়েন ফু জানান, ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে দুই হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হওয়ার পর এটিই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। তিনি আরও জানান, সমগ্র তাইওয়ানজুড়ে এবং সাগরের অন্যান্য দ্বীপে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।