Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টানা চতুর্থবারের মতো এমপি হলেন টিউলিপ সিদ্দিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। তিনি ইংল্যান্ডের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হলেন টিউলিপ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচনে টিউলিপ মোট ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভের ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। ২০১৯ সালের নির্বাচনের ভোটের চেয়ে টিউলিপের এবছরের ভোটের সংখ্যা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে দুই গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপ।

২০১৫ সালে শক্তিশালী ৭ প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবার এমপি হয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্তত ৩৪ ব্রিটিশ নাগরিক। এর মধ্যে লেবার পার্টির হয়ে আটজন ও কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে লড়েছেন দুজন বাংলাদেশি।

এছাড়া লেবার পার্টি থেকে গত মেয়াদের চার এমপি রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক, ড. রূপা হক ও আফসানা বেগম এবারও লড়েছেন। একই দল থেকে এবার ভোটের লড়াইয়ে আছেন আরও চারজন। তারা হলেন- রুমী চৌধুরী, রুফিয়া আশরাফ, নুরুল হক আলী ও নাজমুল হোসাইন। কনজারভেটিভ দলের মনোনয়ন নিয়ে ভোটে অংশ নেন আতিক রহমান ও সৈয়দ সাইদুজ্জামান।

বিজয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার জ্যেষ্ঠ মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ বলেন, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য সম্মান। যারা তাকে ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। আর যারা আমাকে ভোট দেয়নি আমি তাদেরও এমপি। তাদের জন্যও আমি কঠোর পরিশ্রম করব।

প্রসঙ্গত, টিউলিপ ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে সাংগঠনিক রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তার নেতৃত্বগুণ দলকে মুগ্ধ করে। অল্প সময়ে তিনি হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের প্রভাবশালী নেত্রীতে পরিণত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি শক্তিশালী সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ছায়া মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

টানা চতুর্থবারের মতো এমপি হলেন টিউলিপ সিদ্দিক

প্রকাশের সময় : ১২:১২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। তিনি ইংল্যান্ডের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হলেন টিউলিপ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচনে টিউলিপ মোট ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভের ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। ২০১৯ সালের নির্বাচনের ভোটের চেয়ে টিউলিপের এবছরের ভোটের সংখ্যা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে দুই গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপ।

২০১৫ সালে শক্তিশালী ৭ প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবার এমপি হয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্তত ৩৪ ব্রিটিশ নাগরিক। এর মধ্যে লেবার পার্টির হয়ে আটজন ও কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে লড়েছেন দুজন বাংলাদেশি।

এছাড়া লেবার পার্টি থেকে গত মেয়াদের চার এমপি রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক, ড. রূপা হক ও আফসানা বেগম এবারও লড়েছেন। একই দল থেকে এবার ভোটের লড়াইয়ে আছেন আরও চারজন। তারা হলেন- রুমী চৌধুরী, রুফিয়া আশরাফ, নুরুল হক আলী ও নাজমুল হোসাইন। কনজারভেটিভ দলের মনোনয়ন নিয়ে ভোটে অংশ নেন আতিক রহমান ও সৈয়দ সাইদুজ্জামান।

বিজয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার জ্যেষ্ঠ মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ বলেন, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য সম্মান। যারা তাকে ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। আর যারা আমাকে ভোট দেয়নি আমি তাদেরও এমপি। তাদের জন্যও আমি কঠোর পরিশ্রম করব।

প্রসঙ্গত, টিউলিপ ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে সাংগঠনিক রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তার নেতৃত্বগুণ দলকে মুগ্ধ করে। অল্প সময়ে তিনি হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের প্রভাবশালী নেত্রীতে পরিণত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি শক্তিশালী সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ছায়া মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করছেন।