Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে হাইকোর্টে ৫ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ৯ (২) ধারা তুলে ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এই আইন অনুযায়ী আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোনো ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণ খেলাপি বলে গণ্য হবেন।

এর আগে গত ৮ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

গত ৭ মে গাজীপুর সিটি করেেপারেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর হয়।

তার আগে গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। তবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বছর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র তিনটি সামরিক মহড়া হবে

জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই : হাইকোর্ট

প্রকাশের সময় : ০১:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে হাইকোর্টে ৫ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ৯ (২) ধারা তুলে ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এই আইন অনুযায়ী আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোনো ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণ খেলাপি বলে গণ্য হবেন।

এর আগে গত ৮ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

গত ৭ মে গাজীপুর সিটি করেেপারেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর হয়।

তার আগে গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। তবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।