Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জঙ্গি নয়, দুষ্টু পোলাপান চিরকুট দিয়ে হুমকি দিয়েছে : ডিএমপি কমিশনার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জঙ্গি নয়, দুষ্টু পোলাপান চিরকুট দিয়ে হুমকি দিয়েছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে পয়লা বৈশাখে শুধু ঢাকা মহানগরীতেই নিরাপত্তায় ২ হাজার ৭০০ পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে উড়োচিঠি এসেছে তা দেওয়া হয়েছে দাজ্জাল বাহিনী নামে। দাজ্জাল বাহিনী নামে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন নেই। কোনো দুষ্টু পোলাপান অতিউৎসাহী হয়ে চিরকুট লিখছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর টিএসসি, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনাসহ যেসব এলাকায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হবে, সেসব এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল চেকপোস্ট ছাড়াও অবজারভেশন পোস্টসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতি বছর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রমনা বটমূলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। আমাদের সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আন্তর্জাতিক মানের। যদি কোথাও বোমা পাওয়া যায় তাহলে সিটিটিসির রোবোটিকস সিস্টেম ও ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে আইডেন্টিফাই করা যাবে। পরবর্তী সময়ে রোবটের মাধ্যমে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা যাবে। এরমধ্যে যদি কোনো দুষ্কৃতিকারী ঢুকে যায় তাহলে সোয়াত টিম সেই মহড়া দিয়েছে। তাদের সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার পয়লা বৈশাখে সুনির্দিষ্ট জঙ্গি হামলার কোনো তথ্য নেই। মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে উড়ো চিরকুটটি ‘দাজ্জাল বাহিনী’ নামে পাঠানো হয়েছে। দাজ্জাল বাহিনী নামে বাংলাদেশে কোনো সংগঠন নেই। এটা কোনো এক দুষ্টু লোক করেছে। এতে নিরাপত্তা হুমকি দেখার কিছু নেই।

তিন স্তরের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমনাকেন্দ্রিক মোট ৯টি গেট থাকবে। এরমধ্যে চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। বাকি ৫টি গেট দিয়ে প্রবেশ-বাহির হওয়া যাবে। প্রত্যকটি গেটে পুলিশ, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। প্রত্যকেককে সার্চ করে রমনায় প্রবেশ করানো হবে।

খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, পহেলা বৈশাখে অনেক সময় দেখা যায় উঠতি বয়সী ছেলেরা ভুভুজেলাসহ বিভিন্নভাবে উচ্চ শব্দ করে নগরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এ ধরনের শব্দ না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। ব্যাগ নিয়ে কেউ রমনা পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যকের চেক-ইন করা হবে। তাই বাড়তি কোনো কিছু নিয়ে রমনায় আসবেন না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। আর বিকেল ৪টার মধ্যে রমনা পার্ক খালি করতে হবে।

আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ১০ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছি। পলাতক জঙ্গিরা নজরদারিতে, তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরাসরি কোনো জঙ্গি থ্রেট বা হুমকি নেই।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি বাঙালি হিসেবে মনে করি, দুই-একটা বোমা দিয়ে দমন করা যাবে না। ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনী তাদের দোসররা কামান-বন্দুক নিয়ে এই বাঙালিদের দমন করতে পারেনি। আর কোথাকার কোন জঙ্গি একটা-দুইটা বোমা মেরে আমাদের দমন করবে আমরা ওই রকম ভীতুর জাতি নয়। আমরা বীরের জাতি। কোনো জঙ্গি, কোনো শকুন আমাদের প্রতি নখ দেখাবে আমার সেই জাতি নয়। এরপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কেউ কোনো ধরনের দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভ্যান চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২

জঙ্গি নয়, দুষ্টু পোলাপান চিরকুট দিয়ে হুমকি দিয়েছে : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ০২:১৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জঙ্গি নয়, দুষ্টু পোলাপান চিরকুট দিয়ে হুমকি দিয়েছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে পয়লা বৈশাখে শুধু ঢাকা মহানগরীতেই নিরাপত্তায় ২ হাজার ৭০০ পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে উড়োচিঠি এসেছে তা দেওয়া হয়েছে দাজ্জাল বাহিনী নামে। দাজ্জাল বাহিনী নামে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন নেই। কোনো দুষ্টু পোলাপান অতিউৎসাহী হয়ে চিরকুট লিখছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর টিএসসি, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনাসহ যেসব এলাকায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হবে, সেসব এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল চেকপোস্ট ছাড়াও অবজারভেশন পোস্টসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতি বছর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রমনা বটমূলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। আমাদের সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আন্তর্জাতিক মানের। যদি কোথাও বোমা পাওয়া যায় তাহলে সিটিটিসির রোবোটিকস সিস্টেম ও ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে আইডেন্টিফাই করা যাবে। পরবর্তী সময়ে রোবটের মাধ্যমে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা যাবে। এরমধ্যে যদি কোনো দুষ্কৃতিকারী ঢুকে যায় তাহলে সোয়াত টিম সেই মহড়া দিয়েছে। তাদের সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার পয়লা বৈশাখে সুনির্দিষ্ট জঙ্গি হামলার কোনো তথ্য নেই। মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে উড়ো চিরকুটটি ‘দাজ্জাল বাহিনী’ নামে পাঠানো হয়েছে। দাজ্জাল বাহিনী নামে বাংলাদেশে কোনো সংগঠন নেই। এটা কোনো এক দুষ্টু লোক করেছে। এতে নিরাপত্তা হুমকি দেখার কিছু নেই।

তিন স্তরের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমনাকেন্দ্রিক মোট ৯টি গেট থাকবে। এরমধ্যে চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। বাকি ৫টি গেট দিয়ে প্রবেশ-বাহির হওয়া যাবে। প্রত্যকটি গেটে পুলিশ, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। প্রত্যকেককে সার্চ করে রমনায় প্রবেশ করানো হবে।

খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, পহেলা বৈশাখে অনেক সময় দেখা যায় উঠতি বয়সী ছেলেরা ভুভুজেলাসহ বিভিন্নভাবে উচ্চ শব্দ করে নগরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এ ধরনের শব্দ না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। ব্যাগ নিয়ে কেউ রমনা পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যকের চেক-ইন করা হবে। তাই বাড়তি কোনো কিছু নিয়ে রমনায় আসবেন না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। আর বিকেল ৪টার মধ্যে রমনা পার্ক খালি করতে হবে।

আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ১০ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছি। পলাতক জঙ্গিরা নজরদারিতে, তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরাসরি কোনো জঙ্গি থ্রেট বা হুমকি নেই।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি বাঙালি হিসেবে মনে করি, দুই-একটা বোমা দিয়ে দমন করা যাবে না। ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনী তাদের দোসররা কামান-বন্দুক নিয়ে এই বাঙালিদের দমন করতে পারেনি। আর কোথাকার কোন জঙ্গি একটা-দুইটা বোমা মেরে আমাদের দমন করবে আমরা ওই রকম ভীতুর জাতি নয়। আমরা বীরের জাতি। কোনো জঙ্গি, কোনো শকুন আমাদের প্রতি নখ দেখাবে আমার সেই জাতি নয়। এরপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কেউ কোনো ধরনের দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।