আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল লি শাংফুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করেছে চীন। মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করার খবর দিয়েছে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। গত জুনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও বরখাস্ত করা হয়েছিল।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাংফু গত দুই মাস জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে ছিলেন। মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করার খবর দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো। তিন মাস আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকেও বরখাস্ত করা হয়েছিল। তিনিও এক মাসের বেশি সময় লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লি শাংফুকে কেন সরানো হয়েছে, তার কারণ জানা যায়নি। এমনকি তার স্থানে কাউকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে কিনা তাও বলা হয়নি।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভির তথ্য অনুসারে, শাংফুকে স্টেট কাউন্সিলর পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে কেন তাকে অপসারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
গত মার্চেই চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন শাংফু। এই হিসেবে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনিই সবচেয়ে কম সময় ছিলেন।
এ বছরের মার্চে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান লি। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাস পরই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। আর এ তদন্ত করছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রভাবশালী ডিসিপ্লিনারি ইনসপেকশন কমিশন। চীনের সামরিক বাহিনীর ‘সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের’ যে ইউনিট আছে- ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সেই ইউনিটের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন লি। আর সেই সময় সেখানে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিল।
তবে কি সেই দুর্নীতির কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। তার কোনো উত্তরসূরীর নামও ঘোষণা করা হয়নি।
লিকে ২৯ আগস্ট সর্বশেষবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল। ওই দিন বেইজিংয়ে একটি নিরাপত্তা ফোরামে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ১৫ আগস্ট রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ১৬ আগস্ট বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
এর আগে চলতি বছরের জুনে দেশটির তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কিন গ্যাংকে প্রায় এক মাস ধরে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরপর হুট করে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কিন গ্যাংকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।