Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ত্রাণের লাইনের ওপর আবার ইসরায়েলের হামলা নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন।

ইসরায়েল এর আগেও গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর এই ধরনের হামলা চালিয়েছে। যদিও সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর সর্বশেষ এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। রোববার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজা সিটির দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকরা ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক সে সময়ই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এর মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদাররা গণহত্যা চালিয়েছে। আল কুয়েত গোলচত্ত্বরে ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক। সে সময় তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়। এতে ১৯ জন নিহত এবং আরও ২৩ জন আহত হয়।

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা ক্ষুধার্ত লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছিল। এসব লোকজন ব্যাগ হাতে খাবার এবং ত্রাণ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। তারা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য বিপজ্জনক কেউ ছিল না।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়েছে। হামলায় আহতদের নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কোনো হাসপাতালেই লোকজনকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেক মানুষকেই খোলা আকাশের নিচেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মাহমুদ বাসাল বলেন, হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এখানকার বাস্তবতা দুঃখজনক, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।

আলা আল খুদারি নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন মারা গেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছে। সেখানে লোকজন তাদের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ত্রাণের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘(ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) একটি ত্রাণবাহী গাড়িবহরের কাছে থাকা বহু সংখ্যক গাজাবাসীকে আক্রমণ করেছে বলে যেসব প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, তা ভুল।’

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে নির্ধারণ করা হয়েছে, কনভয়ের বিরুদ্ধে কোনও বিমান হামলা চালানো হয়নি এবং (ইসরায়েলি) বাহিনী ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে তেমন ঘটনাও পাওয়া যায়নি।’

এর আগে গত মঙ্গলবার ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় ২৩ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়।

গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শহরের দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১১৮ জন নিহত এবং ৭৬০ জন আহত হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

গাজায় ত্রাণের লাইনের ওপর আবার ইসরায়েলের হামলা নিহত ১৯

প্রকাশের সময় : ০৪:০৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন।

ইসরায়েল এর আগেও গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর এই ধরনের হামলা চালিয়েছে। যদিও সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর সর্বশেষ এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। রোববার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজা সিটির দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকরা ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক সে সময়ই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এর মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদাররা গণহত্যা চালিয়েছে। আল কুয়েত গোলচত্ত্বরে ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক। সে সময় তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়। এতে ১৯ জন নিহত এবং আরও ২৩ জন আহত হয়।

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা ক্ষুধার্ত লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছিল। এসব লোকজন ব্যাগ হাতে খাবার এবং ত্রাণ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। তারা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য বিপজ্জনক কেউ ছিল না।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়েছে। হামলায় আহতদের নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কোনো হাসপাতালেই লোকজনকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেক মানুষকেই খোলা আকাশের নিচেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মাহমুদ বাসাল বলেন, হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এখানকার বাস্তবতা দুঃখজনক, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।

আলা আল খুদারি নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন মারা গেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছে। সেখানে লোকজন তাদের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ত্রাণের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘(ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) একটি ত্রাণবাহী গাড়িবহরের কাছে থাকা বহু সংখ্যক গাজাবাসীকে আক্রমণ করেছে বলে যেসব প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, তা ভুল।’

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে নির্ধারণ করা হয়েছে, কনভয়ের বিরুদ্ধে কোনও বিমান হামলা চালানো হয়নি এবং (ইসরায়েলি) বাহিনী ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে তেমন ঘটনাও পাওয়া যায়নি।’

এর আগে গত মঙ্গলবার ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় ২৩ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়।

গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শহরের দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১১৮ জন নিহত এবং ৭৬০ জন আহত হয়েছে।