নিজস্ব প্রতিবেদক :
সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে শাক ও সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমলেও অধিকাংশ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে বেগুন কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কচুরমুখী কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে ঝিঙা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা এবং পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো কেজিতে ৫০ টাকা কমে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, কাঁকরোল ১০০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা ও ডাটা শাক ২ আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৩২০ টাকা ও সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা এবং জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।
এসব বাজারে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২১০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা ও সোনালি কক মুরগির ডিমের হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ৩০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ইলিশ ২ হাজার ১০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা ও ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের ইলিশ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি শিং ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকায় ও পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে দেশি আদা কেজিতে ৬০ টাকা কমে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা ও ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে খোলা আটা কেজিতে অন্তত ৮ টাকা ও ময়দার দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার খোলা আটা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ৪২ টাকা। প্যাকেটজাত আটার দাম অন্তত ২০ টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে সেনা, ডায়মন্ড, ফ্রেশ, আফতাবসহ নানা ব্র্যান্ডের দুই কেজি প্যাকেটের আটা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা।
আর খোলা ময়দা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। প্যাকেটজাত ময়দা দুই কেজিতে ১০টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
ছোট দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। আর মোটা দানার মসুর ডালের দামও বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়।
চালের দাম পাইকারিতে কিছুটা কমলেও খুচরায় এখনও প্রভাব পড়েনি। খুচরা দোকানে মিনিকেট চালের দাম কেজি প্রতি ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা, আটাশ বালাম কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা মোটা চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পাইজাম ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, বাসমতী ৯৫ থেকে ১২০ টাকা, চিনিগুঁড়া প্যাকেট ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা ও খোলা পোলাও চাল মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।