ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি :
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর আহমেদ শরীফ ডিলুর মেয়ে মাহজেবীন শিরিন পিয়া শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাতে পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাহজেবিন শিরিন প্রিয়া পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ ও ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালের বড় বোন এবং ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সদস্য তিনি।
প্রিয়া ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর স্ত্রী।
ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পাবনার ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে যুবদল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় একটি মামলা হয়। এতে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার শৈলপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে যুবদল কর্মী নজরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সেজো ছেলে পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফকে প্রধান আসামি করে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮০-৯০ জনকে আসামি করেন। প্রিয়ার স্বামী সাবেক পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু পলাতক থাকাকালীন ঢাকা থেকে আটক হয়ে জেলহাজতে গিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল এখনো পাবনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে ঈশ্বরদী শহরের হাসপাতাল রোডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
ওসি শহীদ আরও জানান, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে যুবদল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় একটি মামলা হয়। এতে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যুবদল কর্মীদের গুলি করার ঘটনার মামলায় প্রিয়া আসামি না থাকার কারণে ৫ আগস্টের পর তিনি বহাল তবিয়তে ঈশ্বরদী শহরের হাসপাতাল রোডের নিজ বাড়িতে ছিলেন। তবে ওই মামলায় দীর্ঘ ৬ মাস পর পুলিশ প্রিয়াকে আটক করা হলো কেন? এই প্রশ্নের জবাবে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ কোনো সদুত্তর না দিয়ে জানান, তিনি পলাতক ছিলেন।