Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ৫০ দেশকে ইরানের চিঠি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা করছে ইসরায়েল। সেখানে শিশু ও নারীদের নির্মমভাবে হত্যা করছে দখলদার বাহিনী। দীর্ঘ দেড় মাস পরও গাজায় হামলা বন্ধ করতে রাজি নয় ইসরায়েল। এমন অবস্থায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ৫০ দেশের নেতাকে চিঠি দিয়েছে ইরান।

চিঠিতে তিনি বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পাশবিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্য তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিকল্প নেই। বিশ্বের স্বাধীনচেতা দেশগুলো বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো যদি ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে তাহলে গাজাবাসী নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যায় লাগাম টানতে পারে ইহুদিবাদীরা।

গত ৪৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হাজার হাজার মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করার জন্য ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট। আর এসবে প্রকাশ্য সমর্থন দেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোরও কঠোর সমালোচনা করে বলেন, পশ্চিমা সরকারগুলো মানবাধিকার ও নৈতিকতার ব্যাপারে যে দ্বৈত নীতি গ্রহণ করেছে গাজা যুদ্ধ তার প্রমাণ।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, মধ্যরাতের ওই বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে আজ পর্যন্ত গাজায় ১৩ হাজার ৩ শ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি নারী।

এদিকে জানা গেছে, দীর্ঘ দেড় মাস ধরে গাজায় হামলা চালানোর পর হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে এখন অপেক্ষা শুধু হামাসের পক্ষ থেকে জবাব পাওয়ার। সোমবার (২১ নভেম্বর) ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে এই সমঝোতায় আসতে আগ্রহী ইসরায়েল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ৫০ দেশকে ইরানের চিঠি

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা করছে ইসরায়েল। সেখানে শিশু ও নারীদের নির্মমভাবে হত্যা করছে দখলদার বাহিনী। দীর্ঘ দেড় মাস পরও গাজায় হামলা বন্ধ করতে রাজি নয় ইসরায়েল। এমন অবস্থায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ৫০ দেশের নেতাকে চিঠি দিয়েছে ইরান।

চিঠিতে তিনি বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পাশবিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্য তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিকল্প নেই। বিশ্বের স্বাধীনচেতা দেশগুলো বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো যদি ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে তাহলে গাজাবাসী নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যায় লাগাম টানতে পারে ইহুদিবাদীরা।

গত ৪৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হাজার হাজার মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করার জন্য ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট। আর এসবে প্রকাশ্য সমর্থন দেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোরও কঠোর সমালোচনা করে বলেন, পশ্চিমা সরকারগুলো মানবাধিকার ও নৈতিকতার ব্যাপারে যে দ্বৈত নীতি গ্রহণ করেছে গাজা যুদ্ধ তার প্রমাণ।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, মধ্যরাতের ওই বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে আজ পর্যন্ত গাজায় ১৩ হাজার ৩ শ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি নারী।

এদিকে জানা গেছে, দীর্ঘ দেড় মাস ধরে গাজায় হামলা চালানোর পর হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে এখন অপেক্ষা শুধু হামাসের পক্ষ থেকে জবাব পাওয়ার। সোমবার (২১ নভেম্বর) ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে এই সমঝোতায় আসতে আগ্রহী ইসরায়েল।