Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের বন্দরে বড় বিস্ফোরণে নিহত ৪, আহত শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরানের বন্দরনগরী বন্দর আব্বাসের শহীদ রাজী বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে চারজন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে আহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। বিস্ফোরণটি এতটাই তীব্র ছিল যে এতে, বন্দরের প্রশাসনিক ভবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেক যানবাহন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভির বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার শহীদ রাজাই বন্দরে কাস্টমস ভবন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিনা কনটেইনার ইয়ার্ডে একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরিত হয়। এতে ৪ জন নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ৫৬১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হরমোজগান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি দল ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে।

বিস্ফোরণ ঘটনার কয়েকটি ফুটেজ ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়াসসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভাইরাল। ফুটেজগুলোতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের সময় লোকজন বন্দর থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন এবং অনেকেই রাস্তায় আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। ভবন ও কয়েকটি দেয়ার ধসে পড়েছে।

বিবিসি ফার্সির প্রতিবেদন জানিয়েছে, স্থানীয় গণমাধ্যমকে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কিছু শ্রমিক এখনও ধসে পড়া ছাদের নিচে আটকা পড়েছেন এবং আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

একটি ফুটেজে দেখা গেছে, কনটেইনার টার্মিনাল সাইটে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বিভিন্ন ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, ঘাটগুলো ওপর দিয়ে কালো ধোঁয়ার বিশাল মেঘ উড়ছে।

তাসনিম নিউজ এজেন্সিরকে হরমোজগানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক বলেছেন, বিস্ফোরণটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। তবে কী কারণে জ্বালানি ট্যাংকটি বিস্ফোরিত হলো তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, বন্দর কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি প্রশাসনিক ভবনে বিস্ফোরণের সূত্রপাত ঘটে। ঘটনার পর বন্দরের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সম্ভাব্য ব্যাপক হতাহতের শঙ্কায় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে বন্দরের হাসপাতালগুলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। নিরাপত্তা ও জরুরি দলগুলি এলাকাটি সুরক্ষিত করতে কাজে নেমেছে।

বন্দরের কাস্টমস অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্ভবত দাহ্য এবং রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণের ডিপোতে আগুন লাগার কারণে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। বিস্ফোরণস্থলে নিকটবর্তী শহরগুলি থেকে উদ্ধারকারী বাহিনী এবং অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার ক্রুদের পাঠানো হয়েছে এবং আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।

একটি বিশ্লেষক সংস্থা জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কনটেইনারগুলোতে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহারের জন্য জ্বালানি ছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ইরানের বন্দরে বড় বিস্ফোরণে নিহত ৪, আহত শতাধিক

প্রকাশের সময় : ১০:১৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরানের বন্দরনগরী বন্দর আব্বাসের শহীদ রাজী বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে চারজন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে আহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। বিস্ফোরণটি এতটাই তীব্র ছিল যে এতে, বন্দরের প্রশাসনিক ভবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেক যানবাহন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভির বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার শহীদ রাজাই বন্দরে কাস্টমস ভবন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিনা কনটেইনার ইয়ার্ডে একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরিত হয়। এতে ৪ জন নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ৫৬১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হরমোজগান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি দল ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে।

বিস্ফোরণ ঘটনার কয়েকটি ফুটেজ ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়াসসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভাইরাল। ফুটেজগুলোতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের সময় লোকজন বন্দর থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন এবং অনেকেই রাস্তায় আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। ভবন ও কয়েকটি দেয়ার ধসে পড়েছে।

বিবিসি ফার্সির প্রতিবেদন জানিয়েছে, স্থানীয় গণমাধ্যমকে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কিছু শ্রমিক এখনও ধসে পড়া ছাদের নিচে আটকা পড়েছেন এবং আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

একটি ফুটেজে দেখা গেছে, কনটেইনার টার্মিনাল সাইটে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বিভিন্ন ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, ঘাটগুলো ওপর দিয়ে কালো ধোঁয়ার বিশাল মেঘ উড়ছে।

তাসনিম নিউজ এজেন্সিরকে হরমোজগানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক বলেছেন, বিস্ফোরণটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। তবে কী কারণে জ্বালানি ট্যাংকটি বিস্ফোরিত হলো তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, বন্দর কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি প্রশাসনিক ভবনে বিস্ফোরণের সূত্রপাত ঘটে। ঘটনার পর বন্দরের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সম্ভাব্য ব্যাপক হতাহতের শঙ্কায় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে বন্দরের হাসপাতালগুলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। নিরাপত্তা ও জরুরি দলগুলি এলাকাটি সুরক্ষিত করতে কাজে নেমেছে।

বন্দরের কাস্টমস অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্ভবত দাহ্য এবং রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণের ডিপোতে আগুন লাগার কারণে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। বিস্ফোরণস্থলে নিকটবর্তী শহরগুলি থেকে উদ্ধারকারী বাহিনী এবং অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার ক্রুদের পাঠানো হয়েছে এবং আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।

একটি বিশ্লেষক সংস্থা জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কনটেইনারগুলোতে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহারের জন্য জ্বালানি ছিল।