নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, একেক সময় একেক কথা বলা হচ্ছে, এটা শেখ হাসিনার কথা বার্তার সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা, ভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারকে নির্বাচন নিয়ে স্পষ্টভাবে মাস, তারিখ দিয়ে ঘোষণা দিতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই জুলাই আন্দোলন হয়েছে। এ সরকার ভোটে নির্বাচিত না হলেও তার জনসমর্থন রয়েছে।
রিজভী বলেন, যারা আন্দোলনে জীবন দিয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরা যেন না খেয়ে থাকে। তাদের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শহীদদের রক্তের ওপর গঠিত সরকার। শিশু-কিশোর, শ্রমিক ও ছাত্র জনতাসহ শহীদদের রক্তের ওপর গঠিত সরকার। গুম খুনের মধ্য দিয়ে যে অরাজকতা তৈরি করছিল হাসিনা, সেটাকে পরাজিত করে গঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকার নির্দিষ্ট দিন তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া তৈরি করবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত অর্ধশত গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বেতন পায়নি। এটা কেন পায়নি? এর দায় সরকারের ওপর বর্তাবে। একজন শ্রমিক যদি না খেয়ে থাকে, ঈদের আগে যদি বেতন না পায় তাহলে তারা ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে না। এটা সরকারের দেখা উচিত ছিল।
সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, জুলাই আন্দোলনে ১৭জন রিকশাচালক ভাই জীবন দিয়েছেন। আমি তাদের বাসায় গিয়েছি। তাদের পরিবারের সদস্যরা কষ্টে জীবন যাপন করছেন। ফ্রাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের পরিবার যেন না খেয়ে না থাকে। তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তাদের সন্তানদের লেখা পড়ার দায়িত্বও নিতে হবে। পরিবারের সদস্যের যারা চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত তাদের চাকরি দিতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ন্যায়বিচারের জন্যই আমাদের সংগ্রাম। অবৈধ ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক মেয়র আদালতে সেই সময় মামলা করেছিলেন। সেই মামলার ফলাফল তিনি পেয়েছেন। অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত ও সুবিচার পেয়েছেন। সেই সুবিচারের মধ্য দিয়ে জনগণের মেয়র জনগণের কাতারে ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ডামি করে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। সে সময় চোর-ডাকাতরা এমপি হতো, আর ভালো মানুষদের জায়গা হতো কারাগারে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার উদাহারণ। যদি দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র থাকতো তাহলে ২০১৪ সালেই বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতেন।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কাজী রফিক ও মহবুবুল ইসলাম শাওন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।