Dhaka শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘লাইফ সাপোর্টে’ ওসমান হাদি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার ঢামেক হামপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিকাল বলেন, তার মাথার ভেতরে গুলি আছে। বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে তার সার্জারি চলছে। হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ রাখা হয়েছে।

এফসিপিএস প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক সাব্বির হোসেন সাগর ফেইসবুকে লিখেছেন, “হাদি ভাইয়ের জিসিএস-৩, বাইল্যাটারার পিউপিল ডাইলেটেড। মেডিকেলের ভাষায় যেটা আসলে ব্রেইন ডেথ। যদি কোনো মিরাকুলাস কিছু ঘটে, তাহলে হয়তো আমরা তাকে আবার আমাদের মাঝে ফিরে পাব। আমাদের কাছে যা অসম্ভব আল্লাহর কাছে তা কেবলই ‘কুন’। জুমার দিন…….সবার সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকি…..আল্লাহ চাইলে তো ফিরিয়েও দিতে পারেন।

ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, জুমার নামাজের পর বেলা ২টা ২৫ মিনিটে বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পেছনের রিকশায় ছিলেন মো. রাফি। তিনি ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেন।

মো. রাফি বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে আমরা হাইকোর্টের দিকে আসছিলাম। রিকশায় ছিলাম। বিজয়নগরে আসতেই একটা মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আমি ভাইয়ের পেছনের রিকশায় ছিলাম।’

ওসমান হাদির সতীর্থরা ঢাকা মেডিকেলে ‘বি নেগেটিভ’ রক্ত খুঁজছেন। তারা বলছেন, ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে হাদির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা রক্ত জোগাড় করতে বলেছেন।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।

চিকিৎসকের বরাতে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, “ওসমান হাদিকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে রেখে তার চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।”

পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডের ডিআর টাওয়ারের সামনে মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা অবস্থায় হাদিকে গুলি করে বলে জানান পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, “কারা কী কারণে তাকে গুলি করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আমরা অপরাধীদের শনাক্তে কাজ করছি।”

এদিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ওসমান হাদির গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আবহাওয়া

‘লাইফ সাপোর্টে’ ওসমান হাদি

প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার ঢামেক হামপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিকাল বলেন, তার মাথার ভেতরে গুলি আছে। বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে তার সার্জারি চলছে। হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ রাখা হয়েছে।

এফসিপিএস প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক সাব্বির হোসেন সাগর ফেইসবুকে লিখেছেন, “হাদি ভাইয়ের জিসিএস-৩, বাইল্যাটারার পিউপিল ডাইলেটেড। মেডিকেলের ভাষায় যেটা আসলে ব্রেইন ডেথ। যদি কোনো মিরাকুলাস কিছু ঘটে, তাহলে হয়তো আমরা তাকে আবার আমাদের মাঝে ফিরে পাব। আমাদের কাছে যা অসম্ভব আল্লাহর কাছে তা কেবলই ‘কুন’। জুমার দিন…….সবার সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকি…..আল্লাহ চাইলে তো ফিরিয়েও দিতে পারেন।

ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, জুমার নামাজের পর বেলা ২টা ২৫ মিনিটে বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পেছনের রিকশায় ছিলেন মো. রাফি। তিনি ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেন।

মো. রাফি বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে আমরা হাইকোর্টের দিকে আসছিলাম। রিকশায় ছিলাম। বিজয়নগরে আসতেই একটা মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আমি ভাইয়ের পেছনের রিকশায় ছিলাম।’

ওসমান হাদির সতীর্থরা ঢাকা মেডিকেলে ‘বি নেগেটিভ’ রক্ত খুঁজছেন। তারা বলছেন, ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে হাদির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা রক্ত জোগাড় করতে বলেছেন।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।

চিকিৎসকের বরাতে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, “ওসমান হাদিকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে রেখে তার চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।”

পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডের ডিআর টাওয়ারের সামনে মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা অবস্থায় হাদিকে গুলি করে বলে জানান পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, “কারা কী কারণে তাকে গুলি করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আমরা অপরাধীদের শনাক্তে কাজ করছি।”

এদিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ওসমান হাদির গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।