Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এআইয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহারসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে সুযোগ থাকলে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রী ড. অ্যানি অ্যালির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফক করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী এসেছিলেন। আন্তর্জাতিক বিষয় তার অধিক্ষেত্র। মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন আমাদের প্রস্তুতি কী, কীভাবে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। সেই সঙ্গে তারাও তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। যেমন আমাদের এখানে নির্বাচনের দিনে যে ধরনের ঘটনা ঘটে, তেমন কিছু তাদের দেশেও ঘটে কিনা এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মূলত মতবিনিময়।

ইসি সচিব বলেন, আলোচনায় বিষয়টি এসেছে যে, যদি কোনোভাবে সহযোগিতা করার সুযোগ থাকে, তাহলে আমরা যেন সেটা তাদের জানাই। আজকের আলোচনায় মূলত প্রযুক্তির অপব্যবহার, বিশেষ করে এআই-সম্পর্কিত ঝুঁকি নিয়ে কথা হয়েছে।

আখতার আহমেদ বলেন, আমরা এআই ইন্টারভেনশন, মিসইউজ অফ ইনফরমেশন, এবিউজ অফ ইনফরমেশন, ফেক ইনফরমেশন— এসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তাদের দেশেও এই ধরনের সমস্যা আছে। আমাদের ইউএনডিপি স্পন্সর করা একটি প্রকল্প আছে— ‘ব্যালট’। সেখানে তারাও সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতে অতিরিক্ত সহযোগিতার সুযোগ থাকলে তারা তা বিবেচনা করবে।

এআই ও মিসইনফরমেশনের বিষয়ে সচিব বলেন, সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা উঠলে ইসির পক্ষ থেকে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) রোধে সহায়তার কথা বলা হয়। এই বিষয়ে দুই পক্ষই একমত হয়– এটি একটি কমন প্রবলেম, যা উভয় দেশেই বিদ্যমান। আমরা এ বিষয়টি (প্রযুক্তির অপব্যবহার, ফেক ইনফরমেশন) নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা দিতে চাইলে, সেটা আমরা চাই বলেও জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে ইউএনডিপি সহযোগিতায় ব্যালট প্রজেক্টে সহযোগিতা করছে এবং বাড়তি কোনো সহযোগিতার সুযোগ থাকলে সেটা আমরা তা বিবেচনা করব। তবে, কীভাবে বা কতটুকু সহযোগিতা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এই সৌজন্য সাক্ষাতে হয়নি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ও ইসি সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন অ্যানি এ্যালি, মন্ত্রী, মিনিস্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, মাল্টিকালচারাল অ্যান্ড স্মল বিজনেস।

এর সঙ্গে অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি, ঢাকা নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের উপমিশনপ্রধান ক্লিনটন প্লোবকে, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের প্রথম সহকারী সচিব (ডিএফএটি) সারা স্টোরে এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব এন্থনি লিউ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নাশকতা মামলায় সাবেক এমপি কবিরুল কারাগারে

এআইয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহারসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে সুযোগ থাকলে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রী ড. অ্যানি অ্যালির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফক করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী এসেছিলেন। আন্তর্জাতিক বিষয় তার অধিক্ষেত্র। মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন আমাদের প্রস্তুতি কী, কীভাবে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। সেই সঙ্গে তারাও তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। যেমন আমাদের এখানে নির্বাচনের দিনে যে ধরনের ঘটনা ঘটে, তেমন কিছু তাদের দেশেও ঘটে কিনা এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মূলত মতবিনিময়।

ইসি সচিব বলেন, আলোচনায় বিষয়টি এসেছে যে, যদি কোনোভাবে সহযোগিতা করার সুযোগ থাকে, তাহলে আমরা যেন সেটা তাদের জানাই। আজকের আলোচনায় মূলত প্রযুক্তির অপব্যবহার, বিশেষ করে এআই-সম্পর্কিত ঝুঁকি নিয়ে কথা হয়েছে।

আখতার আহমেদ বলেন, আমরা এআই ইন্টারভেনশন, মিসইউজ অফ ইনফরমেশন, এবিউজ অফ ইনফরমেশন, ফেক ইনফরমেশন— এসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তাদের দেশেও এই ধরনের সমস্যা আছে। আমাদের ইউএনডিপি স্পন্সর করা একটি প্রকল্প আছে— ‘ব্যালট’। সেখানে তারাও সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতে অতিরিক্ত সহযোগিতার সুযোগ থাকলে তারা তা বিবেচনা করবে।

এআই ও মিসইনফরমেশনের বিষয়ে সচিব বলেন, সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা উঠলে ইসির পক্ষ থেকে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) রোধে সহায়তার কথা বলা হয়। এই বিষয়ে দুই পক্ষই একমত হয়– এটি একটি কমন প্রবলেম, যা উভয় দেশেই বিদ্যমান। আমরা এ বিষয়টি (প্রযুক্তির অপব্যবহার, ফেক ইনফরমেশন) নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা দিতে চাইলে, সেটা আমরা চাই বলেও জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে ইউএনডিপি সহযোগিতায় ব্যালট প্রজেক্টে সহযোগিতা করছে এবং বাড়তি কোনো সহযোগিতার সুযোগ থাকলে সেটা আমরা তা বিবেচনা করব। তবে, কীভাবে বা কতটুকু সহযোগিতা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এই সৌজন্য সাক্ষাতে হয়নি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ও ইসি সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন অ্যানি এ্যালি, মন্ত্রী, মিনিস্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, মাল্টিকালচারাল অ্যান্ড স্মল বিজনেস।

এর সঙ্গে অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি, ঢাকা নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের উপমিশনপ্রধান ক্লিনটন প্লোবকে, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের প্রথম সহকারী সচিব (ডিএফএটি) সারা স্টোরে এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব এন্থনি লিউ।