Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব ছাড়লেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক

  • জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮১ জন দেখেছেন

জাবি প্রতিনিধি : 

ভোট শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক। অনিয়মের অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে তারা এ ঘোষণা দেন।

নির্বাচন বর্জনকারী তিন শিক্ষক হলেন- অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও নাহরিন ইসলাম খান। তাদের মধ্যে অধ্যাপক নজরুল ছিলেন কেন্দ্রীয়ভাবে জাকসু নির্বাচন মনিটরিংয়ের দায়িত্বে। বাকি দুই শিক্ষক ছিলেন হল-পর্যায়ের মনিটরিং দায়িত্বে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, ‘হাতের আঙুলে যে কালি ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর মুছে যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন নতুন নতুন ভোটার তৈরি করা হচ্ছে। নির্বাচনে যে অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হয়েছে, নিশ্চয় এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। আমরা মনে করি আজকের এ নির্বাচন ছিল একটি সাজানো নাটক। আমাদের মনে হয়েছে এ নাটক থেকে সরে আসার দরকার এজন্য আমরা নির্বাচন থেকে সরে এসেছি।’

অধ্যাপক নজরুল বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ কালি আসার অপেক্ষা করছিলাম। কালি পাওয়ার পর দেখা গেলো সেটি অমোচনীয় নয়। ফলে একজন ভোটার একাধিক ভোট দিয়েছেন। আমি নিজ চোখে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে এটি দেখেছি। সহকর্মী এক শিক্ষকের কাছে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার তথ্য পেয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ১৫ নম্বর হলে গিয়েছিলাম। তাজউদ্দীন আহমদ হল, কবি নজরুল ইসলাম হল, খালেদা জিয়া হল ও জাহানারা ইমাম হলসহ অনেক হলে একই অবস্থা ছিল। সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাপনা এবং একটি নির্দিষ্ট দলের কর্মীদের আচরণ ছিল চরম আক্রমণাত্মক।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘ব্যালট পেপার ও ভোটিং মেশিন সরবরাহ করেছে এক জামায়াত নেতার মালিকানাধীন কোম্পানি। গত রাতে যখন আমরা প্রমাণ উপস্থাপন করেছি তখন নির্বাচন কমিশন তা স্বীকার করেছে। মেশিনে গণনার পরিবর্তে ম্যানুয়ালি গণনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা প্রমাণ করে পুরো প্রক্রিয়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে কারচুপির জন্য সাজানো হয়েছে।’

অতিরিক্ত ব্যালট মুদ্রণ ও বিতরণ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে অধ্যাপক নজরুল বলেন, ‘এই ব্যালট গোপনে ব্যবহার করে নির্দিষ্ট প্রার্থীর ভোট বাড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব অনিয়ম বিবেচনায় নিয়ে আমরা এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলতে পারি না। ছাত্রদল প্যানেলের মতো আমরাও পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি এবং এই নির্বাচন বয়কট করছি।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব ছাড়লেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাবি প্রতিনিধি : 

ভোট শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক। অনিয়মের অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে তারা এ ঘোষণা দেন।

নির্বাচন বর্জনকারী তিন শিক্ষক হলেন- অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও নাহরিন ইসলাম খান। তাদের মধ্যে অধ্যাপক নজরুল ছিলেন কেন্দ্রীয়ভাবে জাকসু নির্বাচন মনিটরিংয়ের দায়িত্বে। বাকি দুই শিক্ষক ছিলেন হল-পর্যায়ের মনিটরিং দায়িত্বে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, ‘হাতের আঙুলে যে কালি ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর মুছে যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন নতুন নতুন ভোটার তৈরি করা হচ্ছে। নির্বাচনে যে অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হয়েছে, নিশ্চয় এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। আমরা মনে করি আজকের এ নির্বাচন ছিল একটি সাজানো নাটক। আমাদের মনে হয়েছে এ নাটক থেকে সরে আসার দরকার এজন্য আমরা নির্বাচন থেকে সরে এসেছি।’

অধ্যাপক নজরুল বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ কালি আসার অপেক্ষা করছিলাম। কালি পাওয়ার পর দেখা গেলো সেটি অমোচনীয় নয়। ফলে একজন ভোটার একাধিক ভোট দিয়েছেন। আমি নিজ চোখে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে এটি দেখেছি। সহকর্মী এক শিক্ষকের কাছে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার তথ্য পেয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ১৫ নম্বর হলে গিয়েছিলাম। তাজউদ্দীন আহমদ হল, কবি নজরুল ইসলাম হল, খালেদা জিয়া হল ও জাহানারা ইমাম হলসহ অনেক হলে একই অবস্থা ছিল। সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাপনা এবং একটি নির্দিষ্ট দলের কর্মীদের আচরণ ছিল চরম আক্রমণাত্মক।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘ব্যালট পেপার ও ভোটিং মেশিন সরবরাহ করেছে এক জামায়াত নেতার মালিকানাধীন কোম্পানি। গত রাতে যখন আমরা প্রমাণ উপস্থাপন করেছি তখন নির্বাচন কমিশন তা স্বীকার করেছে। মেশিনে গণনার পরিবর্তে ম্যানুয়ালি গণনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা প্রমাণ করে পুরো প্রক্রিয়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে কারচুপির জন্য সাজানো হয়েছে।’

অতিরিক্ত ব্যালট মুদ্রণ ও বিতরণ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে অধ্যাপক নজরুল বলেন, ‘এই ব্যালট গোপনে ব্যবহার করে নির্দিষ্ট প্রার্থীর ভোট বাড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব অনিয়ম বিবেচনায় নিয়ে আমরা এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলতে পারি না। ছাত্রদল প্যানেলের মতো আমরাও পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি এবং এই নির্বাচন বয়কট করছি।’