Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারখানা মালিকের আড়াই বছরের শিশুকে অপহরণ, কর্মচারীর যাবজ্জীবন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২২৩ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

‎ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ১৬ বছর আগে মালিকের আড়াই বছরের শিশু ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির মামলায় আসামি সাদ্দাম হোসেন ওরফে মুকুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

‎‎রায়ে একই সঙ্গে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, যা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

‎‎সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‎‎রায় ঘোষণার সময় আসামি সাদ্দাম ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

‎‎মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, সাদ্দাম কামরাঙ্গীরচরে আবুল খায়েরের প্ল্যাস্টিক কারাখানায় পাঁচ হাজার টাকা বেতনে চাকরী করতেন। ২০০৯ সালের ১৫ অগাস্ট সাদ্দাম মালিকের আড়াই বছরের শিশুপুত্র আরিফকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর নিয়ে যান। এ ঘটনায় আবুল খায়ের কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। ওইদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার দিকে সাদ্দাম মোবাইলে ফোন করে আরিফকে ফিরে পেতে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরদিন ১৬ অগাস্ট আবুল খায়ের থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ মির্জাপুরের গোড়াইল সৈয়দপুর থেকে শিশু আরিফকে উদ্ধার করে এবং সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি তদন্ত করে কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মাসুম খান ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাদ্দামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল আজ সাজার রায় ঘোষণা করেন।

আবহাওয়া

১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় না গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব : নাহিদ ইসলাম

কারখানা মালিকের আড়াই বছরের শিশুকে অপহরণ, কর্মচারীর যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

‎ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ১৬ বছর আগে মালিকের আড়াই বছরের শিশু ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির মামলায় আসামি সাদ্দাম হোসেন ওরফে মুকুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

‎‎রায়ে একই সঙ্গে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, যা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

‎‎সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‎‎রায় ঘোষণার সময় আসামি সাদ্দাম ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

‎‎মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, সাদ্দাম কামরাঙ্গীরচরে আবুল খায়েরের প্ল্যাস্টিক কারাখানায় পাঁচ হাজার টাকা বেতনে চাকরী করতেন। ২০০৯ সালের ১৫ অগাস্ট সাদ্দাম মালিকের আড়াই বছরের শিশুপুত্র আরিফকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর নিয়ে যান। এ ঘটনায় আবুল খায়ের কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। ওইদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার দিকে সাদ্দাম মোবাইলে ফোন করে আরিফকে ফিরে পেতে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরদিন ১৬ অগাস্ট আবুল খায়ের থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ মির্জাপুরের গোড়াইল সৈয়দপুর থেকে শিশু আরিফকে উদ্ধার করে এবং সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি তদন্ত করে কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মাসুম খান ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাদ্দামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল আজ সাজার রায় ঘোষণা করেন।