Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি : ভিপি প্রার্থী আবিদুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:১২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিয়ম ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অভিযোগ প্রসঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার কিছু আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ভোটকেন্দ্রের সামনে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, প্রার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কার্ড করেনি। সে কারণে তাকে মেয়েদের হলের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ভোটটা উদযাপন করতে চাই। অভিযোগ করতে চাই না।

তিনি বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু জিএস, এজিএস হিসেবে প্যানেলের প্রধান হিসেবে যেটুকু অ্যাকসেস প্রয়োজন ছিল তা আমরা পাইনি বলে বলে মনে হচ্ছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ভিপি প্রার্থী। যে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি নিজে কিন্তু ভোট চাচ্ছেন। আমি প্রার্থী হিসেবে সবগুলো কেন্দ্রে তো আসবো, দেখবো। শিক্ষার্থীরা আছেন, সালাম দেওয়া-একুটু তো বিনিময় তো স্বাভাবিক ব্যাপার।

আপনাদের প্রার্থী লিফলেট দিয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ২০১৯ সালেও ডাকসু নির্বাচন করেছি। দেখেন, প্যানেলের যে নম্বরগুলো, ব্যালট নম্বর, ৪১টা ব্যালট নম্বর মনে রাখা সত্যিকার অর্থে কঠিন। হয়তো অনেক শিক্ষার্থী এটা না নিয়েও আসতে পারে, সেজন্য শুধু ব্যালট নম্বটা এখানে রাখা হয়েছে।

১০০ মিটারের মধ্য প্রচারণা চালাতে নিষেধ করে মাইকিং করা হচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রাশসনের তাহলে উচিত অন্যান্য সব প্রার্থীদেরও এখানে না আসতে দেওয়া। ভিপি প্রার্থী হিসেবে সব কেন্দ্রে ভোট ঠিকভাবে চলছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব কি আমার নয় ? কেন্দ্রগুলোতেও আমার প্রবেশাধিকার পাওয়ার কথা ছিল। রোকেয়া হল, টিএসসি কেন্দ্রেরটা এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। উদয়নে পাচ্ছি না। আমাদের কোনো আইডি কার্ডও নেই। অভিযোগ দিলে আমারও প্রচুর অভিযোগ দিতে পারি। আমরা ভোটটা উদযাপন করতে চাচ্ছি, দ্যাটস অল। এ জন্য অভিযোগ থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছি। চেষ্টা করছি, প্রকাশ্যে কোনো অভিযোগ না করে এগুলো মিটিয়ে নেওয়া যায় কিনা। আমরা চাচ্ছি না, রাজনৈতিক অপস্কৃতিগুলো আবার ফিরো আসুক।

প্রয়োজনের তুলনায় পোলিং এজেন্ড অনেক কম এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা নির্বাচন কমিশন তাদের যথাযথ বয়ান প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। অভিযোগ করলে অনেক করা যায়, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

এদিকে, এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে এবার লড়ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৪৫, জিএসে ১৯ এবং এজিএসে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।

নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ‘আবিদ-হামীম-মায়েদ পরিষদ’ থেকে ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ আলোচনায় আছেন।

ছাত্রদল-শিবির সমর্থিত প্যানেলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস প্রার্থী হিসেবে মহিউদ্দিন খান লড়ছেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে আবদুল কাদের এবং জিএস প্রার্থী হিসেবে আবু বাকের মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ থেকে জিএস মাহিন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তবে তিনি জিএস পদে আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এ ছাড়া ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা; ছাত্রঅধিকার পরিষদ থেকে ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং বামপন্থী শিক্ষার্থীদের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস পদে মেঘমল্লার বসু লড়ছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি : ভিপি প্রার্থী আবিদুল

প্রকাশের সময় : ১২:১২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিয়ম ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অভিযোগ প্রসঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার কিছু আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ভোটকেন্দ্রের সামনে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, প্রার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কার্ড করেনি। সে কারণে তাকে মেয়েদের হলের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ভোটটা উদযাপন করতে চাই। অভিযোগ করতে চাই না।

তিনি বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু জিএস, এজিএস হিসেবে প্যানেলের প্রধান হিসেবে যেটুকু অ্যাকসেস প্রয়োজন ছিল তা আমরা পাইনি বলে বলে মনে হচ্ছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ভিপি প্রার্থী। যে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি নিজে কিন্তু ভোট চাচ্ছেন। আমি প্রার্থী হিসেবে সবগুলো কেন্দ্রে তো আসবো, দেখবো। শিক্ষার্থীরা আছেন, সালাম দেওয়া-একুটু তো বিনিময় তো স্বাভাবিক ব্যাপার।

আপনাদের প্রার্থী লিফলেট দিয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ২০১৯ সালেও ডাকসু নির্বাচন করেছি। দেখেন, প্যানেলের যে নম্বরগুলো, ব্যালট নম্বর, ৪১টা ব্যালট নম্বর মনে রাখা সত্যিকার অর্থে কঠিন। হয়তো অনেক শিক্ষার্থী এটা না নিয়েও আসতে পারে, সেজন্য শুধু ব্যালট নম্বটা এখানে রাখা হয়েছে।

১০০ মিটারের মধ্য প্রচারণা চালাতে নিষেধ করে মাইকিং করা হচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রাশসনের তাহলে উচিত অন্যান্য সব প্রার্থীদেরও এখানে না আসতে দেওয়া। ভিপি প্রার্থী হিসেবে সব কেন্দ্রে ভোট ঠিকভাবে চলছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব কি আমার নয় ? কেন্দ্রগুলোতেও আমার প্রবেশাধিকার পাওয়ার কথা ছিল। রোকেয়া হল, টিএসসি কেন্দ্রেরটা এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। উদয়নে পাচ্ছি না। আমাদের কোনো আইডি কার্ডও নেই। অভিযোগ দিলে আমারও প্রচুর অভিযোগ দিতে পারি। আমরা ভোটটা উদযাপন করতে চাচ্ছি, দ্যাটস অল। এ জন্য অভিযোগ থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছি। চেষ্টা করছি, প্রকাশ্যে কোনো অভিযোগ না করে এগুলো মিটিয়ে নেওয়া যায় কিনা। আমরা চাচ্ছি না, রাজনৈতিক অপস্কৃতিগুলো আবার ফিরো আসুক।

প্রয়োজনের তুলনায় পোলিং এজেন্ড অনেক কম এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা নির্বাচন কমিশন তাদের যথাযথ বয়ান প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। অভিযোগ করলে অনেক করা যায়, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

এদিকে, এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে এবার লড়ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৪৫, জিএসে ১৯ এবং এজিএসে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।

নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ‘আবিদ-হামীম-মায়েদ পরিষদ’ থেকে ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ আলোচনায় আছেন।

ছাত্রদল-শিবির সমর্থিত প্যানেলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস প্রার্থী হিসেবে মহিউদ্দিন খান লড়ছেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে আবদুল কাদের এবং জিএস প্রার্থী হিসেবে আবু বাকের মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ থেকে জিএস মাহিন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তবে তিনি জিএস পদে আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এ ছাড়া ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা; ছাত্রঅধিকার পরিষদ থেকে ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং বামপন্থী শিক্ষার্থীদের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস পদে মেঘমল্লার বসু লড়ছেন।