Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে স্থায়ী সমাধান চান আপিল বিভাগ : প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে কেবল সাময়িক সমাধান দিতে চায় না আপিল বিভাগ; বরং এ বিষয়ে একটি সুদূরপ্রসারী ও কার্যকর সমাধান চায় বিচারপতিরা, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) শুনানিতে এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিই, এটি কবে থেকে কার্যকর হবে? তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সুস্পষ্ট ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এটি নিয়ে আর সংকট সৃষ্টি না হয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে, সেটিই করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে, সেটিই করা হবে।’

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের ওপর এদিন সকালে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে খায়রুল হকের দেয়া রায়টিকে বিতর্কিত উল্লেখ করে তা বাতিল চান আইনজীবীরা।

সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে এর আগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তিসহ ৫ টি আবেদন করে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এদিকে, গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নগদে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে সপ্তাহ খানেকের মধ্য বিজ্ঞপ্তি : গভর্নর

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে স্থায়ী সমাধান চান আপিল বিভাগ : প্রধান বিচারপতি

প্রকাশের সময় : ১১:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে কেবল সাময়িক সমাধান দিতে চায় না আপিল বিভাগ; বরং এ বিষয়ে একটি সুদূরপ্রসারী ও কার্যকর সমাধান চায় বিচারপতিরা, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) শুনানিতে এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিই, এটি কবে থেকে কার্যকর হবে? তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সুস্পষ্ট ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এটি নিয়ে আর সংকট সৃষ্টি না হয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে, সেটিই করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে, সেটিই করা হবে।’

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের ওপর এদিন সকালে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে খায়রুল হকের দেয়া রায়টিকে বিতর্কিত উল্লেখ করে তা বাতিল চান আইনজীবীরা।

সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে এর আগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তিসহ ৫ টি আবেদন করে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এদিকে, গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।