নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দগ্ধ সাহিল ফারাবি আয়ান (১৪) নামে আরো এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ২টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, আয়ানের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিক্যাল অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিল সে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ঘটনাটিতে ইনস্টিটিউটে ১৮ জনের মৃত্যু হলো। এখন ভর্তি আছে ৩৩জন। যাদের মধ্যে তিনজন এখনও আইসিইউতে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছে।
সাহিল ফারাবি আয়ানের চাচা ডা. মোস্তফা কামাল আরেফিন জানান, আয়ান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী মাসুদ। পরিবার নিয়ে মিরপুর মধ্য মনিপুর এলাকায় থাকত।
এদিকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে গত ২৪ জুলাই প্রকাশিত তালিকায় মৃতের সংখ্যা ১৫ জন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে, রোববার (২৭ জুলাই) হালনাগাদ তালিকায় এই সংখ্যা সংশোধন করে ১৪ জন দেখানো হয়েছে। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা হয় ৩৪ জন। নতুন করে আরও একজন (সাহিল ফারাবি আয়ান) যোগ হলে সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫ জন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই শিশু। এছাড়া ওই যুদ্ধবিমানের পাইলট, দুই শিক্ষক, অফিস সহায়ক ও দুই অভিভাবকেরও মৃত্যু হয়েছে।