Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়া ভালো আছেন, জাতির প্রয়োজনে নেতৃত্বও দেবেন : ডা. জাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চিকিৎসায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে শারীরিকভাবে অনেকটা ভালো আছেন। একইসঙ্গে পারিবারিক আবহে থাকায় মানসিকভাবেও তিনি আগের চেয়ে ভালো। এমন তথ্য জানিয়ে তার পূর্ণ সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, জাতির প্রয়োজনে নেতৃত্বও দেবেন খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (০৬ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসা ফিরোজার সামনে লন্ডন থেকে চিকিৎসা শেষে ফেরার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয়তার বিষয়ে জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই নেতা বলেছেন, একজন নেত্রী বলতেন উনি (খালেদা জিয়া) যায় না কেন, যায় না কেন? এখন উনিই চলে গেছেন। আর বেগম খালেদা জিয়া আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। দেশনেত্রী জাতির যখনই প্রয়োজন হবে তখনই নেতৃত্ব দেবেন।’

এসময় খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ। ওনার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

এই চিকিৎসক বলেন, লন্ডনে যাওয়ার পর থেকে তারেক রহমান তার মায়ের চিকিৎসার জন্য যা করেছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি চেয়ারপারসনের মানসিকভাবে প্রশান্তি আনতে কাজ করেছেন তার তিন নাতনি। আমরা তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ। লন্ডনের বিএনপির নেতাকর্মী, অন্যান্য দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে অনেকেই দোয়া করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চেয়ারপারসনও সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বর্তমান অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতের কারণে তিনি অনেকটা শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক ভালো আছেন। লম্বা জার্নি করেছেন, আবার বাসা পর্যন্ত আসতে একটা সময় লেগেছে। তারপরও মানসিকভাবে ভালো আছেন। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।

খালেদা জিয়া ফিরোজায় পৌঁছানোর পর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও সফরসঙ্গী বিএনপি নেতা ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন কাতার সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কাতার সরকার শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সই দেয়নি, বরং বিমানের খরচ, ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবার সবকিছু নিশ্চিত করেছে। এই সহায়তার জন্য খালেদা জিয়া কাতার সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ডা: জাহিদ হোসেন বলেন, কাতার সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে, এবং এই মানবিক সহায়তা দেশনেত্রীর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

তারেক রহমানের দেশে ফিরবেন কবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে, যাতে করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে ফিরে জাতির নেতৃত্বে যোগ দিতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, যিনি বেগম জিয়াকে তাচ্ছিল্য করেছিলেন, তিনিই আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পক্ষান্তরে বেগম জিয়াই আজ এখানেই আছেন, জাতির নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।

জোবাইদা রহমান কতদিন দেশে আছেন এবং রাজনীতিতে তার প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ১৭ বছর পর তিনি এসেছেন। এটা কেবল শুরু না। তারা তাদের দেশে আসবেন এটাই নরমাল। তার স্বামী-সন্তান এখনো বিদেশে। তিনি এখন দেশনেত্রীর সাথে এসেছেন। আবার ফেরত যাবেন। সেখানে সব গুছিয়ে আবার সময়মতো চলে আসবেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে, যারা খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করেছে।

ডা: জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেসব সংস্থা মানবিক অবস্থান থেকে সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতি আমাদের ধন্যবাদ।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভালুকায় ঘর থেকে মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

খালেদা জিয়া ভালো আছেন, জাতির প্রয়োজনে নেতৃত্বও দেবেন : ডা. জাহিদ

প্রকাশের সময় : ০৬:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চিকিৎসায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে শারীরিকভাবে অনেকটা ভালো আছেন। একইসঙ্গে পারিবারিক আবহে থাকায় মানসিকভাবেও তিনি আগের চেয়ে ভালো। এমন তথ্য জানিয়ে তার পূর্ণ সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, জাতির প্রয়োজনে নেতৃত্বও দেবেন খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (০৬ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসা ফিরোজার সামনে লন্ডন থেকে চিকিৎসা শেষে ফেরার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয়তার বিষয়ে জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই নেতা বলেছেন, একজন নেত্রী বলতেন উনি (খালেদা জিয়া) যায় না কেন, যায় না কেন? এখন উনিই চলে গেছেন। আর বেগম খালেদা জিয়া আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। দেশনেত্রী জাতির যখনই প্রয়োজন হবে তখনই নেতৃত্ব দেবেন।’

এসময় খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ। ওনার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

এই চিকিৎসক বলেন, লন্ডনে যাওয়ার পর থেকে তারেক রহমান তার মায়ের চিকিৎসার জন্য যা করেছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি চেয়ারপারসনের মানসিকভাবে প্রশান্তি আনতে কাজ করেছেন তার তিন নাতনি। আমরা তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ। লন্ডনের বিএনপির নেতাকর্মী, অন্যান্য দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে অনেকেই দোয়া করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চেয়ারপারসনও সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বর্তমান অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতের কারণে তিনি অনেকটা শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক ভালো আছেন। লম্বা জার্নি করেছেন, আবার বাসা পর্যন্ত আসতে একটা সময় লেগেছে। তারপরও মানসিকভাবে ভালো আছেন। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।

খালেদা জিয়া ফিরোজায় পৌঁছানোর পর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও সফরসঙ্গী বিএনপি নেতা ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন কাতার সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কাতার সরকার শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সই দেয়নি, বরং বিমানের খরচ, ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবার সবকিছু নিশ্চিত করেছে। এই সহায়তার জন্য খালেদা জিয়া কাতার সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ডা: জাহিদ হোসেন বলেন, কাতার সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে, এবং এই মানবিক সহায়তা দেশনেত্রীর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

তারেক রহমানের দেশে ফিরবেন কবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে, যাতে করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে ফিরে জাতির নেতৃত্বে যোগ দিতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, যিনি বেগম জিয়াকে তাচ্ছিল্য করেছিলেন, তিনিই আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পক্ষান্তরে বেগম জিয়াই আজ এখানেই আছেন, জাতির নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।

জোবাইদা রহমান কতদিন দেশে আছেন এবং রাজনীতিতে তার প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ১৭ বছর পর তিনি এসেছেন। এটা কেবল শুরু না। তারা তাদের দেশে আসবেন এটাই নরমাল। তার স্বামী-সন্তান এখনো বিদেশে। তিনি এখন দেশনেত্রীর সাথে এসেছেন। আবার ফেরত যাবেন। সেখানে সব গুছিয়ে আবার সময়মতো চলে আসবেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে, যারা খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করেছে।

ডা: জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেসব সংস্থা মানবিক অবস্থান থেকে সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতি আমাদের ধন্যবাদ।’