নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনের গণহত্যায় ইন্দো-মার্কিন বাহিনী মদদ জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গাজা ও রাফায় ইসরাইল কর্তৃক গণহত্যা ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদ।
তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইন্দো-মার্কিন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মধ্যে আশ্রিত ইসরায়েলিরা আপন দেশে ফিলিস্তিনিদেরই পরবাসী বানাচ্ছে। অথচ সারা বিশ্বের মুসলিম বিশ্ব, পরাশক্তি তারা নির্বিকার, এই গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার নয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে আপনাদের কণ্ঠ উচ্চকিত করবেন, ব্যবস্থা নেবেন। যেন বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের ফলে বিশ্বের পরাশক্তিরা যে ইসরায়েলের পক্ষে ভূমিকা রাখছে এটা বন্ধ হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত এই এলাকায় গণহত্যা যেন আর না হয়। আমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনের গাজা, রাফায় গণহত্যা বন্ধ চাই।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। ইসরাইল জাতিসঙ্ঘের কোনো নির্দেশনা আজ পর্যন্ত মানেনি, এমনকি জাতিসঙ্ঘের কোনো রেজুলেশনকে সম্মান দেয়নি।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছিল। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরায়েল ব্যতীত সারা বিশ্বে ভ্রমণে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা উঠিয়ে দিয়েছিল। তার মানে দাঁড়ায় তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃত দিয়েছিল। অথচ তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের পক্ষে, সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে মায়া কান্নাও কাঁদতো। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা গণতান্ত্রিক শক্তি ও সাধারণ মানুষকে নির্যাতনের জন্য আড়িপাতা যন্ত্র পেগাসাস আওয়ামী লীগ ইসরায়েল থেকেই কিনেছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা আজ যেখানেই আশ্রয় নিন না কেন, বাংলাদেশের মানুষ সারাজীবন আওয়ামী, ফ্যাসিবাদী, মুসলিমবিদ্বেষী, আলেমবিদ্বেষী, ইসলামবিদ্বেষীদের ধিক্কার জানিয়েই যাবে। কারণ আওয়ামী লীগ ইসরায়েলপন্থিদের সমর্থক ছিল।
এ সময় তিনি বলেন, ইসরায়েলের সমস্ত পণ্য আমরা বর্জন করব। কিন্তু তার মানে এই না যে আমরা কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা করব। গতকাল বাংলাদেশে কিছু স্থাপনায় হামলা হয়েছে। আমরা তার নিন্দা জানাই। এই হামলার মধ্যদিয়ে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয় হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ছাত্রদলের প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল মালুম, সহ-সভাপতি ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।