নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুধুমাত্র নতুন উদ্যোক্তাদের মূলধন সহায়তার জন্য ৮০০-৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। সেখান থেকে শুধু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে মূলধন জোগান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে শুরু হওয়া চারদিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে তার অর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধু বাণিজ্যের জন্য নয়, বিনিয়োগের জন্যও একটি উপযুক্ত গন্তব্য। ৯৫ শতাংশ স্টার্টআপই ব্যর্থ হয়, তবে আমরা নিশ্চিত যে সরকার তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে এবং একদিন তারা সফলতা অর্জন করবে।
গভর্নর বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে মূলধন সহায়তার টাকা বিতরণ করা হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে।
সেমিনারে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, সরকার দেশের ইন্টারনেট সেবার মান উন্নত করার জন্য কাজ করছে। সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথের দাম ইতোমধ্যে ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা উন্নত সেবা প্রদান করতে পারে।
ইন্টারনেট শাটডাউনের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে আবার হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কোনোভাবেই ইন্টারনেট শাটডাউন করবে না এবং ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব পদক্ষেপ ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীসহ দেশীয় উদ্যোক্তা এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।