খুলনা জেলা প্রতিনিধি :
দুর্বৃত্তের হামলায় আহত খুলনার ফুলতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সদস্য ফারুক মোল্লার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বেজেরডাঙ্গা মধ্যপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলতলা থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম।
ফারুক মোল্লা উপজেলার পয়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা জনৈক হাসেম মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দু’পায়ে এবং মাথায় আঘাত করে। দুর্বৃত্তের অস্ত্রের আঘাতে তার পায়ের রগ কেটে যায়। তার মাথার পেছনের আঘাতটি খুবই গুরুতর ছিল। ওই আঘাতের কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য রাতে তকে আইসিইউ সাপোর্টেড অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় পৌঁছালে তার অবস্থা আরও খারাপ হয়। তখন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানাকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে তার মরদেহ ফুলতলা উপজেলার পয়গ্রামে নেওয়া হলে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
স্থানীয় ওই সূত্রটি আরও জানায়, ফারুক মোল্লা চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন। তিনি জেলা পুলিশের ৫ নম্বর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ফুলতলা থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি গ্যাংয়ের প্রধান বলে আরও জানা গেছে।
ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ইউপি সদস্য ফারুক মোল্লাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিই। পরবর্তীতে তার অবস্থা অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। রাতে তার মরদেহ ফুলতলা উপজেলার পয়গ্রামে তাদের বাড়িতে নেওয়া হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে এমন ব্যক্তিদের গ্রেফতারে বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি।