Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাগুলিতে নিহত ১

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাছিবুর রহমান নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় সংঘর্ষ হয়। নিহত হাছিবুর চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৬নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে আজ ভোররাত সাতে ৪টার দিকে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের কর্মী হাসিব নিহত হয়। আহত হয় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, আমি এলাকায় নেই। শুনেছি রবিন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেবে।

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং শামীম যুবদলের রাজনীতি করে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে দোষী তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে।’

নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আফতাবনগর-বনশ্রী সংযোগে নির্মাণ হবে দুই সেতু : ডিএনসিসি প্রশাসক

নারায়ণগঞ্জে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাগুলিতে নিহত ১

প্রকাশের সময় : ০৫:৪২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাছিবুর রহমান নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় সংঘর্ষ হয়। নিহত হাছিবুর চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৬নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে আজ ভোররাত সাতে ৪টার দিকে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের কর্মী হাসিব নিহত হয়। আহত হয় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, আমি এলাকায় নেই। শুনেছি রবিন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেবে।

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং শামীম যুবদলের রাজনীতি করে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে দোষী তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে।’

নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।