রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন ঠিক মতো কাজ করলে ডিসেম্বর নয়, জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই নির্বাচন দেয়া সম্ভব। এটি নিয়ে গড়িমসি করলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা আসবে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর ভুবন-মোহন পার্কে আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজশাহীতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও দোয়া কামনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মনে করি। আমরা মনে করি এই সরকারই জাতীয় নির্বাচন দেবে। জনগণ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। এসময় জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচন নয়।
তিনি বলেন, গণপরিষদের নামে জনগণের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে। সংবিধান সংশোধন করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সংবিধান বাতিলের কোনো প্রয়োজন নেই। আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সংবিধান বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে নির্বাচিত সরকার নেবে।
ভারত বাংলাদেশের বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছে। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের এত মাথাব্যথা কেন এমন প্রশ্ন রেখে তিনি আরো বলেন, ভারত এখন শেখ হাসিনার দোসরদের বাগানবাড়িতে পরিণত হয়েছে। ভারতের সব অপকর্ম শেখ হাসিনা মেনে নিতেন। বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত ভারত-বাংলাদেশ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে মারলেও হাসিনা সরকার নীরব থাকতো। পররাষ্ট্রনীতি মাথা নত করে চলতো। ভারত মনে করতো হাসিনা তাদের একজন বিশ্বস্ত, অনুগত।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন দস্যুদলের সর্দারনি। যখন যা ইচ্ছে করেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের হত্যা করে, রক্তাক্ত করে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন, ভারত তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, হিটলার-মুসোলিনি ফ্যাসিস্ট হলেও শেখ হাসিনার মত লুটেরা ছিল না। তারা দেশ প্রেমিক ছিলেন আর শেখ হাসিনা হলো দস্যু দলের সর্দারনী।
আমরা বিএনপি পরিবার এর এই আয়োজনে কেন্দ্রীয় বিএনপি, রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন। এই আয়োজন থেকে শহীদ পরিবারদের এক লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মানের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী এশা, নগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ও সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবিসহ শতাধিক নেতাকর্মী এবং অনুদান গ্রহণে আসা আহত আন্দোলনের যোদ্ধা ও তাদের স্বজনরা।