Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি ঘটনায় গ্রেফতার ৩

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এর আগে, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার সাভার মডেল থানাধীন গেন্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শহিদুল ইসলাম ওরফে মুহিত (২৯), শরীয়তপুরের সবুজ (৩০) ও ঢাকার সাভারের শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮)। তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৩টি মোবাইল, নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। চন্দ্রা পৌঁছালে থেকে ৮-৯ জন যাত্রীবেশী ডাকাতদল বাসটিতে ওঠে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়।

তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যায়। এরপর বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার নানান টালবাহানা করতে থাকে।

তারা বলেন, তাদের গাড়িতে তেল নেই। অবশেষে যাত্রীদের চাপের মুখে পড়ে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে ওসি না থাকায় তারা নাটোরের উদ্দেশে রওনা হন।

বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে পৌঁছালে তিন থেকে চারজন যাত্রী স্থানীয়দের সহায়তায় বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে সন্দেহে আটক করেন।

এ সময় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তবে, ঘটনাস্থল টাঙ্গাইলের মীর্জাপুর হওয়ায় ওসি অভিযোগ নিতে অস্বীকৃতি জানান।

বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন। পরে আদালত তাদের জামিনের আদেশ দেন।

এ ঘটনার তিন দিন পর গতকাল শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। বাসের যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার বাদী বলেন, ডাকাতদল বাসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। বাসে ৭ থেকে ৮ জন নারী যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে, দুজনকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ৫ দফা দাবিতে ১৫ দিনের আলটিমেটাম (ভিডিও)

চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি ঘটনায় গ্রেফতার ৩

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এর আগে, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার সাভার মডেল থানাধীন গেন্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শহিদুল ইসলাম ওরফে মুহিত (২৯), শরীয়তপুরের সবুজ (৩০) ও ঢাকার সাভারের শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮)। তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৩টি মোবাইল, নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। চন্দ্রা পৌঁছালে থেকে ৮-৯ জন যাত্রীবেশী ডাকাতদল বাসটিতে ওঠে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়।

তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যায়। এরপর বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার নানান টালবাহানা করতে থাকে।

তারা বলেন, তাদের গাড়িতে তেল নেই। অবশেষে যাত্রীদের চাপের মুখে পড়ে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে ওসি না থাকায় তারা নাটোরের উদ্দেশে রওনা হন।

বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে পৌঁছালে তিন থেকে চারজন যাত্রী স্থানীয়দের সহায়তায় বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে সন্দেহে আটক করেন।

এ সময় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তবে, ঘটনাস্থল টাঙ্গাইলের মীর্জাপুর হওয়ায় ওসি অভিযোগ নিতে অস্বীকৃতি জানান।

বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন। পরে আদালত তাদের জামিনের আদেশ দেন।

এ ঘটনার তিন দিন পর গতকাল শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। বাসের যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার বাদী বলেন, ডাকাতদল বাসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। বাসে ৭ থেকে ৮ জন নারী যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে, দুজনকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।