Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানির ঘটনার ৩ দিন পর মামলা

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী এই বাসটিতে সোমবার রাতে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় বলা হয়। ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস বাসে ডাকাতির ঘটনার তিনদিন পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই বাসের যাত্রী নাটোর জেলার বড়াইগ্রামের ওমর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে মির্জাপুর থানা ওসি মো. মোশাররফ হোসেন জানান।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানা এলাকায় বাসটি থামিয়ে যাত্রীবেশে ৮-৯ জন ডাকাত বাসে ওঠে অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে ডাকাতরা বাসটিকে টাঙ্গাইলের দিকে নিয়ে চালাতে থাকে। মির্জাপুর থানাধীন সোহাগপাড়া এলাকায় নিয়ে রাত পৌনে ২টার দিকে ডাকাতরা যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি শুরু করে। যাত্রীদের টাকা-পয়সা ও সোনা-রূপার গহনা ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে প্রায় তিনঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানী করে নেমে যায়।

মামলায় আরো বলা হয়, ডাকাতরা নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। এ ঘটনায় যাত্রীরা বাসের চালক ও স্টাফদের জড়িত থাকার সন্দেহ করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে যাত্রীরা বাসটিকে নিয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান।

এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তার সহকারী মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানির ঘটনার ৩ দিন পর মামলা

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী এই বাসটিতে সোমবার রাতে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় বলা হয়। ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস বাসে ডাকাতির ঘটনার তিনদিন পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই বাসের যাত্রী নাটোর জেলার বড়াইগ্রামের ওমর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে মির্জাপুর থানা ওসি মো. মোশাররফ হোসেন জানান।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানা এলাকায় বাসটি থামিয়ে যাত্রীবেশে ৮-৯ জন ডাকাত বাসে ওঠে অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে ডাকাতরা বাসটিকে টাঙ্গাইলের দিকে নিয়ে চালাতে থাকে। মির্জাপুর থানাধীন সোহাগপাড়া এলাকায় নিয়ে রাত পৌনে ২টার দিকে ডাকাতরা যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি শুরু করে। যাত্রীদের টাকা-পয়সা ও সোনা-রূপার গহনা ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে প্রায় তিনঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানী করে নেমে যায়।

মামলায় আরো বলা হয়, ডাকাতরা নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। এ ঘটনায় যাত্রীরা বাসের চালক ও স্টাফদের জড়িত থাকার সন্দেহ করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে যাত্রীরা বাসটিকে নিয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান।

এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তার সহকারী মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।