Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাফ নদী থেকে ১৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২০৯ জন দেখেছেন

টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর মোহনায় মাছ শিকারের সময় চারটি নৌকাসহ ১৯ বাংলাদেশি জেলেকে তুলে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, ঘোলারচর ও নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদের মোহনা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ছয় বাংলাদেশি জেলেকে এখনও ছাড়েনি আরাকান আর্মি।

তারা হলেন, শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়ার মো. কালা মিয়া (৩৭), মো. নুরুল আলম (৩৯), আব্দুল রহমান (১৯), মো. আউল লাম আহমেদ (২৯), মো. লাইল্যা (১১), মো. কবির আহমেদ (৪৩), মোহাম্মদ ইউনুছ (২৩), নুরুল ইসলাম (৩৪), মো. লুতফর রহমান (২৩), রহিম উল্লাহ (২১)। বাকি ৯ জেলের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিটির সভাপতি আবদুল জলিল বলেন, ‘টেকনাফে ফেরার পথে আজও আমাদের ঘাটের মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ নয় জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। এর আগে ধরে নিয়ে যাওয়া ছয় জেলেকে এখনও ছেড়ে দেয়নি। তার ওপর এ ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটির সমাধানে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।’

এ ছাড়া শাহপরীর দ্বীপের মাঝপাড়ার দুটি নৌকাসহ ১০ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মাঝপাড়া নৌঘাটের সাধারণ সম্পাদক আবদুর গফুর। তিনি জানান, তার ঘাটের দুটি নৌকার মো. কালাইয়া এবং জাফর আলমের মালিকাধীন নৌকা নিয়ে ১০ মাঝিমাল্লা নাফ নদে মাছ শিকারে যান। সে সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা জেলেদের ধাওয়া করে ধরে নিয়ে যায়। এতে জেলেদের পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ সীমান্তের বিজিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘নাফ নদ থেকে ট্রলারসহ জেলেদের নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি তাদের দ্রুত ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।’

এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এইমাত্র শুনেছি। এ ঘটনায় বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।’

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী তারেক উর রহমান বলেন, ‘প্রায় সময় জেলেদের মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে আমরা খুব চিন্তিত। কেননা এটির সমাধান না হলে জেলেরা মাছ শিকারে যাবেন না। তাই এটির সমাধান না হলের জেলেদের মাঝে আবারও হতাশা দেখা যাবে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ৫ দফা দাবিতে ১৫ দিনের আলটিমেটাম (ভিডিও)

নাফ নদী থেকে ১৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

প্রকাশের সময় : ১০:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর মোহনায় মাছ শিকারের সময় চারটি নৌকাসহ ১৯ বাংলাদেশি জেলেকে তুলে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, ঘোলারচর ও নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদের মোহনা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ছয় বাংলাদেশি জেলেকে এখনও ছাড়েনি আরাকান আর্মি।

তারা হলেন, শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়ার মো. কালা মিয়া (৩৭), মো. নুরুল আলম (৩৯), আব্দুল রহমান (১৯), মো. আউল লাম আহমেদ (২৯), মো. লাইল্যা (১১), মো. কবির আহমেদ (৪৩), মোহাম্মদ ইউনুছ (২৩), নুরুল ইসলাম (৩৪), মো. লুতফর রহমান (২৩), রহিম উল্লাহ (২১)। বাকি ৯ জেলের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিটির সভাপতি আবদুল জলিল বলেন, ‘টেকনাফে ফেরার পথে আজও আমাদের ঘাটের মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ নয় জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। এর আগে ধরে নিয়ে যাওয়া ছয় জেলেকে এখনও ছেড়ে দেয়নি। তার ওপর এ ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটির সমাধানে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।’

এ ছাড়া শাহপরীর দ্বীপের মাঝপাড়ার দুটি নৌকাসহ ১০ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মাঝপাড়া নৌঘাটের সাধারণ সম্পাদক আবদুর গফুর। তিনি জানান, তার ঘাটের দুটি নৌকার মো. কালাইয়া এবং জাফর আলমের মালিকাধীন নৌকা নিয়ে ১০ মাঝিমাল্লা নাফ নদে মাছ শিকারে যান। সে সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা জেলেদের ধাওয়া করে ধরে নিয়ে যায়। এতে জেলেদের পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ সীমান্তের বিজিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘নাফ নদ থেকে ট্রলারসহ জেলেদের নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি তাদের দ্রুত ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।’

এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এইমাত্র শুনেছি। এ ঘটনায় বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।’

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী তারেক উর রহমান বলেন, ‘প্রায় সময় জেলেদের মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে আমরা খুব চিন্তিত। কেননা এটির সমাধান না হলে জেলেরা মাছ শিকারে যাবেন না। তাই এটির সমাধান না হলের জেলেদের মাঝে আবারও হতাশা দেখা যাবে।’