Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত সব সময় মুনাফেকি করেছে : রিজভী

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা জামায়াতকে সমর্থন করিনি। বিএনপির উদারতার কারণে তারা বাংলাদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কিন্তু সবসময় এই দলটি মুনাফেকি করেছে। মুনাফেকি ছাড়া তারা কিছুই করেনি। যে দলটি ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণ করেছে, নির্বিচারে হত্যা করেছে, জামায়াত বললো, তারা আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে। আবু সাঈদ এবং মুগ্ধের রক্তকে কীভাবে মাফ করবেন?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি। আপনি আবু সাইদের রক্ত, মুগ্ধর রক্ত, আহনাফের রক্ত কিভাবে মাফ করবেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডলের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা একসাথে আন্দোলন করলাম এরশাদের বিরুদ্ধে। হাসিনা প্রথম দিকে ছিলেন। হাসিনা বলেছিলেন, এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যারা যাবে তারা জাতীয় বেইমান। তার পরে কাউকে কিছু না বলে হাসিনা এক লাফে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে গেলো; জামাতও চলে গিয়েছিল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পাসপোর্ট নেই, ভিসা নেই। তিনি একজন অপরাধী। সেই অপরাধী কিভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতে থেকে কথা বলতে পারে। অথচ ভারত তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এখন ভারতের কোন ক্রিমিনালকে যদি বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়। তখন ভারত কি বাংলাদেশকে ছেড়ে কথা বলবে। আওয়ামী লীগের সদস্যরা এখনও দেশের ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করছে। যারা এই দেশের তরুণদের রক্ত কুড়ে কুড়ে খেয়েছে তাদেরকে আপনি অশ্রয় দিবেন। সেই ভারত যদি জামায়াতের কাছে প্রিয় হয়ে যায় তাহলে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, দুঃখজনক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে একটু একটু করে বিক্রি করেছেন শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল করেছে টাকা মেরে বিদেশে পাচার করার জন্য।

রিজভী বলেন, জনগণের টাকাকে ব্যক্তিগত সম্পদ ও পরিবারের সম্পদ মনে করতেন শেখ হাসিনা। নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকারি প্লট ও পরিবারের সদস্যদের নামে লাখ লাখ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের গুম- খুন হামলা-মামলা করে এতদিন জোর করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি।

রিজভী বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ সমাজে গণতন্ত্র যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারি তবেই ছাত্র-জনতার আত্মহুতির মূল্যায়ন হবে। ভোটের নিশ্চয়তা আমাদেরকে দিতে হবে; যেটা আমরা গত ১৭ বছর পাইনি।

শেখ হাসিনা ইয়াবা চোরাচালনের সথে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্যই হাসিনা ইয়াবা চোরাচালানকে উৎসাহিত করেছেন।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা টাকার ভাগ পাবার জন্য অধিক মূল্যে ভারতের আদানির সাথে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছিলেন। সমর্থন পাবার জন্য ভারত যা চেয়েছে তাই তিনি দিয়েছেন। দেশের স্বার্বভৌমত্ব একটু একটু করে বিক্রি করেছেন হাসিনা।

তাহেরপুর পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সামসুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

জামায়াত সব সময় মুনাফেকি করেছে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা জামায়াতকে সমর্থন করিনি। বিএনপির উদারতার কারণে তারা বাংলাদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কিন্তু সবসময় এই দলটি মুনাফেকি করেছে। মুনাফেকি ছাড়া তারা কিছুই করেনি। যে দলটি ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণ করেছে, নির্বিচারে হত্যা করেছে, জামায়াত বললো, তারা আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে। আবু সাঈদ এবং মুগ্ধের রক্তকে কীভাবে মাফ করবেন?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি। আপনি আবু সাইদের রক্ত, মুগ্ধর রক্ত, আহনাফের রক্ত কিভাবে মাফ করবেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডলের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা একসাথে আন্দোলন করলাম এরশাদের বিরুদ্ধে। হাসিনা প্রথম দিকে ছিলেন। হাসিনা বলেছিলেন, এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যারা যাবে তারা জাতীয় বেইমান। তার পরে কাউকে কিছু না বলে হাসিনা এক লাফে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে গেলো; জামাতও চলে গিয়েছিল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পাসপোর্ট নেই, ভিসা নেই। তিনি একজন অপরাধী। সেই অপরাধী কিভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতে থেকে কথা বলতে পারে। অথচ ভারত তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এখন ভারতের কোন ক্রিমিনালকে যদি বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়। তখন ভারত কি বাংলাদেশকে ছেড়ে কথা বলবে। আওয়ামী লীগের সদস্যরা এখনও দেশের ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করছে। যারা এই দেশের তরুণদের রক্ত কুড়ে কুড়ে খেয়েছে তাদেরকে আপনি অশ্রয় দিবেন। সেই ভারত যদি জামায়াতের কাছে প্রিয় হয়ে যায় তাহলে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, দুঃখজনক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে একটু একটু করে বিক্রি করেছেন শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল করেছে টাকা মেরে বিদেশে পাচার করার জন্য।

রিজভী বলেন, জনগণের টাকাকে ব্যক্তিগত সম্পদ ও পরিবারের সম্পদ মনে করতেন শেখ হাসিনা। নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকারি প্লট ও পরিবারের সদস্যদের নামে লাখ লাখ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের গুম- খুন হামলা-মামলা করে এতদিন জোর করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি।

রিজভী বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ সমাজে গণতন্ত্র যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারি তবেই ছাত্র-জনতার আত্মহুতির মূল্যায়ন হবে। ভোটের নিশ্চয়তা আমাদেরকে দিতে হবে; যেটা আমরা গত ১৭ বছর পাইনি।

শেখ হাসিনা ইয়াবা চোরাচালনের সথে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্যই হাসিনা ইয়াবা চোরাচালানকে উৎসাহিত করেছেন।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা টাকার ভাগ পাবার জন্য অধিক মূল্যে ভারতের আদানির সাথে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছিলেন। সমর্থন পাবার জন্য ভারত যা চেয়েছে তাই তিনি দিয়েছেন। দেশের স্বার্বভৌমত্ব একটু একটু করে বিক্রি করেছেন হাসিনা।

তাহেরপুর পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সামসুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ।