গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
গাজীপুর নগরের ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত আবুল কাশেম (২০) মারা গেছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আই সি ইউ) মারা যান তিনি।
নিহত কাশেম গাজীপুর মহানগরীর বাদে কলমেশ্বর এলাকার মৃত জামান হাজীর ছেলে।
গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাসেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় আহত কাশেম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
কাশেমের ভগ্নিপতি সজিব আহমেদ শাহিন বলেন, গাজীপুরে তিনরুমের একটি বাড়ি আছে কাশেমের। পেশায় কিছু করতেন না, বাড়ি ভাড়া দিয়ে চলতেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এলাকার কিছু লোকজন তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে জানতে পারি সাবেক মন্ত্রীর বাসায় হামলার শিকার হয়েছে। সেদিন রাতেই কাশেমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজকে মারা গেছেন।
হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের প্রতিনিধিরা জানান, কাশেম শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কাশেমের শরীরের আঘাত খুবই গুরুতর ছিল। যেদিন তাকে হাসপাতাল আনা হয় সেদিনই তার অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তিনি আইসিইউতে ছিলেন। সেখানেই তিনি মারা যান।
এদিকে আবুল কাশেমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কাশেম শহীদ হয়ে গেছেন। প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহীদ আমার এই ভাই। ইন্টেরিম, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো, করতে হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় মোজাম্মেল হকের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে ১৪ জন আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদেরই একজন ছিলেন কাসেম।
এদিকে, হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ মোহিত বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে আমজাদ হোসেন মোল্লা নামের এক আওয়ামী লীগের কর্মীকে।