Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাট থাকছে আগের মতোই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২০২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভ্যাট ও সম্পূরক কর প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন ও বিক্ষোভের মধ্যেই বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করে ভ্যাট কমিয়ে আগের মতো করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এনবিআর মূসক আইন-বিধির দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান মুন্সি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, মূল্য সংযোজন কর মূসক ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। রেস্তোরাঁ ও দোকান মালিক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে আগে যে ৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য ছিল সেটাই থাকবে।

তিনি বলেন, সম্পূরক কর ও অন্যান্য কর বাড়ানোর যে কথা বলা হয়েছে তা রেস্তোরাঁ ও হোটেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজকের মধ্যে এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

গত ৯ জানুয়ারি ফল, বিস্কুটসহ শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। হোটেল ও রেস্তোরাঁ সেবায় ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। আগে ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ। এই খাতে তিনগুণ ভ্যাট বাড়ায় এনবিআর। মিষ্টান্ন ভান্ডারে মিষ্টি ও মিষ্টিজাত পণ্যে ভ্যাট ৭ দশমিক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।

এছাড়া ইন্টারনেট সেবায় ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। এই সেবায় আগে কোনো সম্পূরক শুল্ক ছিল না। অন্যদিকে ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধেরও হুমকি দেয় তারা। বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার এনবিআর ভবনের সামনে বিশাল মানববন্ধনও করে তারা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাটের হার আগের মতো ৫ শতাংশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রেস্তোরাঁসহ তিন খাতের প্রতিনিধিরা তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আমাদের চিঠি পাঠিয়েছেন। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে এসব খাতের আরোপিত বা বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এনবিআরের ভ্যাট পলিসি বিভাগের প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমানের সই করা একটি চিঠি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিতে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতের ভ্যাট হার পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

ওষুধ খাতের উদ্যোক্তারাও এই ভ্যাট কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি পাঠিয়েছে। ওষুধ খাতে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওষুধ শিল্প সমিতি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাট থাকছে আগের মতোই

প্রকাশের সময় : ০২:৩১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভ্যাট ও সম্পূরক কর প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন ও বিক্ষোভের মধ্যেই বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করে ভ্যাট কমিয়ে আগের মতো করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এনবিআর মূসক আইন-বিধির দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান মুন্সি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, মূল্য সংযোজন কর মূসক ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। রেস্তোরাঁ ও দোকান মালিক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে আগে যে ৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য ছিল সেটাই থাকবে।

তিনি বলেন, সম্পূরক কর ও অন্যান্য কর বাড়ানোর যে কথা বলা হয়েছে তা রেস্তোরাঁ ও হোটেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজকের মধ্যে এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

গত ৯ জানুয়ারি ফল, বিস্কুটসহ শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। হোটেল ও রেস্তোরাঁ সেবায় ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। আগে ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ। এই খাতে তিনগুণ ভ্যাট বাড়ায় এনবিআর। মিষ্টান্ন ভান্ডারে মিষ্টি ও মিষ্টিজাত পণ্যে ভ্যাট ৭ দশমিক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।

এছাড়া ইন্টারনেট সেবায় ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। এই সেবায় আগে কোনো সম্পূরক শুল্ক ছিল না। অন্যদিকে ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধেরও হুমকি দেয় তারা। বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার এনবিআর ভবনের সামনে বিশাল মানববন্ধনও করে তারা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাটের হার আগের মতো ৫ শতাংশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রেস্তোরাঁসহ তিন খাতের প্রতিনিধিরা তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আমাদের চিঠি পাঠিয়েছেন। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে এসব খাতের আরোপিত বা বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এনবিআরের ভ্যাট পলিসি বিভাগের প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমানের সই করা একটি চিঠি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিতে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতের ভ্যাট হার পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

ওষুধ খাতের উদ্যোক্তারাও এই ভ্যাট কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি পাঠিয়েছে। ওষুধ খাতে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওষুধ শিল্প সমিতি।