নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুঁজিবাজারের সংকট উত্তরণে নতুন করে কোনো নীতিমালা গ্রহণ করা হবে না। বরং পরিস্থিতি উন্নয়নে পুঁজিবাজার সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) রাজধানীর নিকুঞ্জে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভবনে দেশের পুঁজিবাজারে চলমান সংকট নিরসনে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের সংস্কারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এবং লেনদেন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল।
তবে ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে জেড ক্যাটেগরিতে পাঠানোর পর এবং বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের ফলে বাজারে লেনদেন কমে গিয়ে বর্তমানে তিন থেকে সাড়ে তিনশ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, নতুন নীতিমালার মাধ্যমে কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়া হবে না, বরং অংশীজনদের সুবিধা ও অসুবিধা অনুযায়ী পুঁজিবাজার সংস্কারের মাধ্যমে উন্নতি আনা হবে।
তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে, আইসিবিকে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে আস্থা ফেরাতেই। পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলোতে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর জন্য লং টার্ম ফাইন্যান্সিং পুঁজিবজার থেকে আসে। ব্যাংকের টাকা হলো জণগণের জমা করা টাকা। তাই বড় এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে আমরা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবার থেকে তাদের সুবিধা অসুবিধাগুলো শুনেছি। ইতিমধ্যে এগুলোর মাঝে কতোগুলো সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা অনেক সময় দেখেন যে শেয়ারমার্কেট পড়ে গেছে। এর কারণ বাজার রিফর্ম হচ্ছে। কারও উপকার করার জন্য এখানে কোনো পলিসি নেয়া হয়নি, যা অতিতে হয়েছিল।
ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায়- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।