Dhaka বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি যেসব জেলায়

করোনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এক হাসপাতলে

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মহামারি করোনাভাইরাসে শনিবার পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া করোনাভাইরাস মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৯ জনের দেহে।

করোনায় কাজ-কর্ম হারিয়ে এখনো দেশে অনেক মানুষ দিশেহারা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম-বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে ঢাকায়। মৃত্যুহারও এখানেই সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন এখানে প্রায় গড়ে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হচ্ছেন।

করোনা প্রতিরোধ এবং এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গঠিত কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা গ্রুপের বৈঠকে উঠে আসা তথ্য বলছে, ঢাকা মহানগরীসহ দেশের ১০ জেলায় করোনার প্রকোপ এখন সবচেয়ে বেশি।

এদিক থেকে ঢাকার পরের অবস্থানে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, গাজীপুর, বরিশাল, কুমিল্লা, সিলেট, রংপুর ও দিনাজপুর।

জানা গেছে, দেশের যত শ্রমঘন শিল্পসংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোর বড় একটি অংশ গড়ে উঠেছে এ ১০ জেলাকে কেন্দ্র করে। এসব জেলার শ্রমঘন শিল্প এলাকাগুলোর শ্রমিকরাসহ নিম্নবিত্তরা ঘিঞ্জি পরিবেশে অল্প জায়গায় অনেকে বসবাস করছেন। ফলে এসব এলাকায় করোনা সংক্রমিতের হারও অনেক বেশি।

আবার যেসব জেলা দেশের সড়ক যোগাযোগের জন্য আঞ্চলিক কেন্দ্রস্থল হিসেবে কাজ করছে, সেগুলোতেও করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি বলে অভিমত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন : মুগদা হাসপাতালের মেশিন নষ্ট: করোনা টেস্ট বন্ধ

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সেবা ও অন্যান্য সুবিধা দেখভালের জন্য অর্ধশতাধিক কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এসব কমিটির কাজ তদারকিতে একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে জুলাইয়ের শেষদিকে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটিও গঠন করা হয়।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে এবং আক্রান্ত রোগীদের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গঠিত কমিটিগুলোর কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনার বিষয়টিকে এ কমিটির কার্যপরিধিতে রাখা হয়। কমিটির সাম্প্রতিক বৈঠকেই সর্বোচ্চ আক্রান্তের ১০ জেলার তথ্য উঠে আসে। বৈঠকে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ব্যাপক সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথমদিকে যেসব করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে তার বেশির ভাগই বিভিন্ন শ্রমঘন শিল্পে কাজ করত অথবা তাদের সংস্পর্শে এসেছে এমন মানুষজন। আর এভাবেই সংক্রমণ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের শিল্পঘন অঞ্চলগুলোতেই করোনা সংক্রমণের হার তুলনামূলক অন্যান্য স্থানের তুলনায় বেশি।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি যেসব জেলায়

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মহামারি করোনাভাইরাসে শনিবার পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া করোনাভাইরাস মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৯ জনের দেহে।

করোনায় কাজ-কর্ম হারিয়ে এখনো দেশে অনেক মানুষ দিশেহারা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম-বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে ঢাকায়। মৃত্যুহারও এখানেই সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন এখানে প্রায় গড়ে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হচ্ছেন।

করোনা প্রতিরোধ এবং এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গঠিত কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা গ্রুপের বৈঠকে উঠে আসা তথ্য বলছে, ঢাকা মহানগরীসহ দেশের ১০ জেলায় করোনার প্রকোপ এখন সবচেয়ে বেশি।

এদিক থেকে ঢাকার পরের অবস্থানে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, গাজীপুর, বরিশাল, কুমিল্লা, সিলেট, রংপুর ও দিনাজপুর।

জানা গেছে, দেশের যত শ্রমঘন শিল্পসংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোর বড় একটি অংশ গড়ে উঠেছে এ ১০ জেলাকে কেন্দ্র করে। এসব জেলার শ্রমঘন শিল্প এলাকাগুলোর শ্রমিকরাসহ নিম্নবিত্তরা ঘিঞ্জি পরিবেশে অল্প জায়গায় অনেকে বসবাস করছেন। ফলে এসব এলাকায় করোনা সংক্রমিতের হারও অনেক বেশি।

আবার যেসব জেলা দেশের সড়ক যোগাযোগের জন্য আঞ্চলিক কেন্দ্রস্থল হিসেবে কাজ করছে, সেগুলোতেও করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি বলে অভিমত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন : মুগদা হাসপাতালের মেশিন নষ্ট: করোনা টেস্ট বন্ধ

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সেবা ও অন্যান্য সুবিধা দেখভালের জন্য অর্ধশতাধিক কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এসব কমিটির কাজ তদারকিতে একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে জুলাইয়ের শেষদিকে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটিও গঠন করা হয়।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে এবং আক্রান্ত রোগীদের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গঠিত কমিটিগুলোর কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনার বিষয়টিকে এ কমিটির কার্যপরিধিতে রাখা হয়। কমিটির সাম্প্রতিক বৈঠকেই সর্বোচ্চ আক্রান্তের ১০ জেলার তথ্য উঠে আসে। বৈঠকে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ব্যাপক সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথমদিকে যেসব করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে তার বেশির ভাগই বিভিন্ন শ্রমঘন শিল্পে কাজ করত অথবা তাদের সংস্পর্শে এসেছে এমন মানুষজন। আর এভাবেই সংক্রমণ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের শিল্পঘন অঞ্চলগুলোতেই করোনা সংক্রমণের হার তুলনামূলক অন্যান্য স্থানের তুলনায় বেশি।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।